বালুরঘাট হিলি টুরা ভায়া বাংলাদেশ করিডর দ্রুত বাস্তবায়নের সম্ভাবনা
১১ই ডিসেম্বর, দিল্লীঃ বালুরঘাট হিলি টুরা ভায়া বাংলাদেশ করিডর বাস্তবায়নের আর এক ধাপ এগলো এইদিন। সংসদের বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে করিডর কমিটির দুই সদস্য আহ্বায়ক নবকুমার দাস ও প্রাক্তন সাংসদ রনেন বর্মণ দেখা করেন কেন্দ্রীয় সরক পরিবহন নীতিন গডকড়ি ও প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের বিভাগীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং-এর সঙ্গে। ২০১২ সালে ভারতীয় পঞ্চ-বার্ষিক পরিকল্পনায় বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে টুরা –হিলি করিডর প্রসঙ্গ আলোচিত হয় উত্তরপূর্ব ভারতের বিকল্প যোগাযোগ ব্যাবস্থা গড়ে তোলার জন্য। যা দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবারে দিল্লীর দরবার করলেন করিডর কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যরা । প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের বিভাগীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং এবং কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গডকড়ির সাথে দেখা করে করিডর প্রসঙ্গে আলোচিত হয়, যেখানে করিডর কমিটির পক্ষ থেকে নেতৃত্বদেন সংসদের বিরোধী দল নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
করিডর দ্রুত বাস্তবায়ন নিয়ে দাবী পত্র তুলে দেওয়া হয়েছে দুই মন্ত্রীর কাছে। যার পরেই কেন্দ্রীয় দুই মন্ত্রী করিডর দ্রুত বাস্তবায়ের আশ্বাস দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরেই উত্তর – পূর্ব ভারতের মেঘালয়ের তুরা থেকে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি-বালুরঘাট পর্যন্ত করিডর স্থাপনের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে জয়েন্ট মুভমেন্ট অফ হিলি – তুরা ভায়া বাংলাদেশ করিডর কমিটি। যার পরে এইদিন এই দাবী পত্র সদস্যদের হাতে তুলে দেবার সঙ্গে সঙ্গে করিডর বাস্তবায়ন আরো এক ধাপ এগলো বলে মনে করছেন ওয়াকিবহল মহল।
করিডর কমিটির আহ্বায়ক নবকুমার দাস আমাদের জানান কেন্দ্রীয় সরক পরিবহন যোগাযোগ মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি আলোচনায় প্রসঙ্গে তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় সরকারের এই করিডর নিয়ে ভাবনার কথা। তিনি বলেন শুধু সরক নয় এই সরক নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে উত্তর পূর্ব ভারতে রেল যোগাযোগ গড়ে তুলে এই করিডর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহন করবে। তাই ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বিবিআইএন-এর মিটিং-এ এই বিষয়ের প্রসঙ্গ উথাপন করা হবে। পাশাপাশি ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে বালাসী ঘাটের উপর ব্রক্ষ্মপুত্র নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণের ও ভাবনা চিন্তা করছে ভারত সরকার।