মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরদিন জেলা শাসকের সভা, জেলা পরিষদের ২০ কোটি টাকার কাজের প্রক্রিয়া শুরু

২০শে নভেম্বর, বালুরঘাটঃ গত মঙ্গলবার গঙ্গারামপুরের স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরদিন জেলা শাসক সভা করলেন দক্ষিন দিনাজপুর জেলা পরিষদের ১৩ জন সদস্য নিয়ে, সঙ্গে ছিলেন দক্ষিন দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অর্পিতা ঘোষ ও বালুরঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক ও মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী। যেখানে ঠিক হয় জেলা পরিষদের প্রায় ২০ কোটি টাকার কাজের প্রক্রিয়া শুরু করার। এইদিন বৈঠক শেষে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অর্পিতা ঘোষ আমাদের জানান অতি শীঘ্রই কাজ শুরু হবে দক্ষিন দিনাজপুর জেলা পরিষদের বরাদ্দ হওয়া টাকার। যা নিয়ে এইদিন জেলা পরিষদের ১৩ জন সদস্যকে নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন দক্ষিন দিনাজপুর জেলা শাসক নিখিল নির্মল। জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি ললিতা টিগ্গাকে সামনে রেখে জেলা শাসক কিভাবে এই কাজ করবেন তা নিয়ে আইনজীবি শঙ্কর চক্রবর্তীর পরামর্শ করেন জেলা শাসক নিখিল নির্মল।

গতকাল গঙ্গারামপুরের স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেন দক্ষিন দিনাজপুর জেলার উন্নয়ন নিয়ে, যেখানে পুরোপুরি মুখথুবরে পরেছে দক্ষিন দিনাজপুর জেলা পরিষদ। প্রায় ২০ কোটি টাকা পরে থাকলেও জেলার উন্নয়নের বিন্দুমাত্র হয় নিয়ে বলে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এই নিয়ে দ্রুত কাজ করবার নির্দেশদেন তিনি। যেখানে বিএডিপি ফান্ডের প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা, রাজ্য সরকারের আরওয়াইডিএফ-এর প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকা, ৪র্থ অর্থ কমিশনের প্রায় দেড় কোটি টাকা সহ প্রধানমন্ত্রী সরক যোজনার ১২ কোটি টাকা প্রায় ২৬ কোটি টাকা পরে রয়েছে দক্ষিন দিনাজপুর জেলা পরিষদে। যার কাজ চলতি সপ্তাহ থেকেই শুরু হবে বলে জানান সহকারী সভাধিপতি ললিতা টিগ্গা।

তবে এই কাজ নিয়ে আইনি জটিলতার কথা বলে শাসক দলকে হুমকির স্বর শোনা যায় জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও বিজেপি নেতা মফিজুদ্দিন মিঞা। তিনি বলেন জেলা পরিষদ এখনো বোর্ড দ্বারা পরিচালিত, ফলে এই বোর্ডকে অস্বীকার করে যদি কোন কাজ হয় তবে তারা আইনি পথে গিয়ে এর প্রতিবাদ করেবন। অর্থ স্থায়ী সমিতির মিটিং ছাড়া কোন টেন্ডার প্রক্রিয়া চলতে পারে না বলে তিনি জানান।

যদিও জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অর্পিতা ঘোষ আমাদের জানান জেলা শাসক তার ক্ষমতা বলে এই ধরনের কাজ করতে পারেন। উন্নয়নকে আটকে রাখা যে প্রক্রিয়া চলছে দক্ষিন দিনাজপুর জেলা পরিষদে, তার জন্য জেলার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলা শাসক তার ক্ষমতা বলে ১৩ জন জেলা পরিষদের সদস্যকে নিয়ে যাবতীয় উন্নয়নের কাজ বাস্তবায়ন করবেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *