জেলা পরিষদে গুরুত্ব ললিতার, আইনি পরামর্ষে শঙ্কর জেলা শাসককে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
২০শে নভেম্বর, গঙ্গারামপুরঃ গত মঙ্গলবার গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর দক্ষিন দিনাজপুর জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে জেলার উন্নয়ন নিয়ে রিতিমত ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। এইদিনের বৈঠকে জেলা পরিষদের সভাধিপতির অনুপস্থিতিতে বেজায় ক্ষুব্ধ হন তিনি। তিনি বৈঠকে দক্ষিন দিনাজপুর জেলা পরিষদের কাজ কর্ম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করবার পাশাপাশি জেলা শাসকের ভূমিকায় রিতিমত ক্ষুব্ধ হন তিনি। তিনি বলেন দক্ষিন দিনাজপুর জেলা প্রশাসন কেন জেলা পরিষদের কাজ কর্ম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে না। জেলা পরিষদের সভাধিপতি অসহযোগিতা করলে যারা কাজ করতে চাচ্ছেন তাদের কেন কাজে যুক্ত করছেনা দক্ষিন দিনাজপুরের জেলা শাসক নিখিল নির্মল। এই প্রসঙ্গে তিনি জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি ললিতা টিগ্গাকে নিয়ে কাজ করার কথা বলেন। তিনি বলেন জেলা শাসক আইনি সহযোগিতা কিম্বা যেকোন প্রয়োজনে জেলার বিশিষ্ট আইনজীবি শঙ্কর চক্রবর্তীর পরামর্শ গ্রহন করতে। তিনি এইদিন বলেন ১৩ জন সদস্য বেশী না বিজেপির ৫ জন, প্রয়োজনে সংখ্যা গরিষ্ঠদের নিয়েই উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। উন্নয়নে কোন প্রকার বিচ্যুতি হলে কাউকে তিনি রেয়াত করবেন না।
এইদিন ১০০ দিনের কাজ থেকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এমনকি জেলার রাস্তা সাড়াই থেকে একাধিক প্রকল্পের কাজ না এগোনোই জেলা প্রশাসনকে এক হাত নেন তিনি। জেলা পরিষদের কাজ থেকে পূর্ত দপ্তর ও জনস্বাস্থ্য দপ্তরের কাজ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন অকারণে কাজ ফেলে রাখায় জেলার বেশ কিছু উন্নয়নের কাজ দেরি হচ্ছে। যা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। তপনের পাণীয় জল পরিষেবা থেকে তপন দিঘীর সংস্কারের কাজ কেন বাস্তবায়ন হচ্ছেনা তাও নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০২০ সালের মধ্যে এই সব প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।