অবৈধ্য ভাবে আটকে পরা চার বাংলাদেশী কিশোরকে দেশে ফেরালো ভারত
২৪শে অক্টোবর, হিলিঃ অবৈধভাবে সীমান্ত পার হবার অপরাধে এপারে আটকে থাকা চার বাংলাদেশীকে কিশোরকে দেশে ফেরালো ভারত সরকার। বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার হিলি চেকপোস্ট দিয়ে দুদেশের ততপরতায় বাংলাদেশী কিশোরদের তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যেখানে ভারতের তরফে উপস্থিত ছিলেন, বালুরঘাটের শুভায়ন হোমের সুপার দাওয়া দর্জি শেরপা, হিলি ইমিগ্রেশনের ওসি শিপ্রা রায়, চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্য সুরজ দাস ও বিএসএফের কর্মকর্তারা। বাংলাদেশের তরফে উপস্থিত ছিলেন ওপার হিলি ইমিগ্রেশনের ওসি রফিকুজ্জামান সহ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের আধিকারীকরা।
হোম সুত্রের খবর, এদিন প্রত্যার্পন হওয়া ওই চার বাংলাদেশী কিশোররা হল মহঃ জহিরুল ইসলাম, মহঃ আলামিন ইসলাম, নুর মহম্মদ ও মহঃ আরিফ হোসেন। আরিফ উত্তর দিনাজপুরের কুনোরের সিএনসিপি হোমে থাকলেও বাকি তিনজন বালুরঘাটের শুভায়ন হোমেই ছিল। বাংলাদেশের রাজশাহীর বাসিন্দা জহিরুল ও আলামিন ষোলো মাস আগে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাবার সাথে ভারতে প্রবেশ করে মালদায় আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে হিলি সীমান্তে আটক হন তারা। এদিন দুদেশের ততপরতায় ওই দুই কিশোর নিজ দেশে ফিরলেও তাদের বাবা বন্দী বালুরঘাটের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের বাসিন্দা নুর মহম্মদ চৌদ্দ মাস আগে মায়ের সাথে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে কাশ্মীরে যাবার পথে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। একইভাবে বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের বাসিন্দা আরিফ কাজের সন্ধানে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় আটক হন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে। যার পরেই চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির মাধ্যমে তার ঠাই হয় উত্তর দিনাজপুরের কুনোর হোমে। একবছর পর দুদেশের ততপরতায় এদিন তাকেও তুলে দেওয়া হয়েছে তার পরিবারের হাতে। এদিন হিলি চেকপোস্টে ভারত-বাংলাদেশের যৌথ ততপরতায় ওই চার কিশোরকেই তুলে দেওয়া হয়েছে তাদের পরিবারের হাতে।
বালুরঘাটের হোম সুপার দাওয়া দর্জি শেরপা বলেন, বিভিন্ন সময় সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারতে ঢুকে পড়ায় ওই শিশুদের স্থান হয় সরকারী হোমে। দুই জেলার দুটি হোম থেকে মোট চারজন কিশোরকে দুদেশের ততপরতায় তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। শুভায়ন হোমে এরকম আরো ষোলো জন শিশু কিশোর রয়েছে যারা একইভাবে আটকে রয়েছে। দুদেশের ততপরতায় তাদেরও দ্রুততার সাথে দেশে ফেরানো হবে।