বাংলাদেশী দুষ্কৃতী তাণ্ডবে আতঙ্কিত কাঁটাতারের ওপারে ভারতীয় গ্রাম, হামলায় আহত এক
বালুরঘাট, ১৪ অক্টোবর ঃ দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে কাঁটা তারের ওপারে ভারতীয় গ্রামে এক জলসা ঘিরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বাংলাদেশী সশস্ত্র দুষ্কৃতী দলের তাণ্ডবে আতঙ্কে ভুগছেন হিলির পূর্ব গোবিন্দপুরের বাসিন্দারা। দশমীর দিন রাতভর দুষ্কৃতী তাণ্ডবে রক্তাক্ত হয়ে বালুরঘাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ভারতীয়। পুরো ঘটনায় কাঁটা তারের ওপারে ভারতীয় ভূখণ্ডের নিরাপত্তা নিয়ে বিএসএফকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বাসিন্দারা।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি ব্লকের ধলপাড়া পঞ্চায়েতের কাঁটা তারের ওপারে বাংলাদেশ লাগোয়া ভারতীয় গ্রাম পূর্ব গোবিন্দপুর। স্বাধীনতার পর থেকে ৫০ থেকে ৬০ টি পরিবার ওই গ্রামে একটি দুর্গা পূজা করে আসছেন । প্রতি বছর ওই পূজো ঘিরে গ্রামের মাঝে মেলাও বসে। যার ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কিছুটা শিথিল করে বিএসএফ বাহিনী। ফলে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষের সমাগম হয় গ্রামে। এবারেও একই ছন্দে চলে পূজো ও মেলা। কিন্তু বিপত্তি ঘটে দশমীর দিন গ্রামে আয়োজিত এক জলসা ঘিরে। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা বাংলাদেশের জিরো পয়েন্টের বাসিন্দা অধীর মালী মদ্যপ অবস্থায় এলাকার এক বাসিন্দার কুকুরকে কোলে তুলে নেয়। যার প্রতিবাদ করতেই কোল থেকে কুকুরটিকে ফেলে দেয় অধীর। ঘটনা ঘিরে দুই পক্ষের বিবাদে অধীরকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। যার প্রতিবাদ ওই মঞ্চে দাঁড়িয়ে করেছিলেন পূজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ স্বপন দাস। মাইকের কথা শেষ করতেই প্রতিবেশী গ্রামের বেশকিছু মদ্যপ বাসিন্দা তাঁকে মারধর করে। ঘটনা গড়ায় হিলি থানায়। বিষয়টি নিয়ে রবিবার মীমাংসার কথা থাকলেও থানায় হাজির হয়নি খাইরুল, বক্কর, মুসলেমরা। উল্টে গভীর রাতে সশস্ত্র বাংলাদেশী ৩০ – ৪০ জনের দুষ্কৃতী দল নিয়ে কোষাধ্যক্ষের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। মাথায় আঘাত করলে প্রান বাঁচাতে পুকুরে ঝাঁপ দেয় স্বপন দাস। এমনকি তার স্ত্রী পুষ্প মহন্ত দাসকেও মারধর করে দুষ্কৃতীরা। এমন সব ঘটনার পরেও গ্রামে বিএসএফ পৌঁছায়নি। পরে পুলিশ পৌঁছালেও ভয়ে আতঙ্কিত সকল বাসিন্দারা।
আক্রান্তের স্ত্রী পুষ্প মহন্ত দাস বলেন, রাতের অন্ধকারে হামলা চালানো হয়েছে। বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয় । দুষ্কৃতীদের শাস্তির দাবী করেছেন তিনি।
গ্রামবাসী নৃপেন্দ্র মন্ডল বলেন, মদ্যপ অবস্থায় গ্রামে হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। বর্তমানে ভয়ে আতঙ্কে বাড়ি থেকে বাইরে বের হতে পারছে না কেউই।
আক্রান্তের মা সুনতী দাস বলেন, বাংলাদেশী দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মদতে এমন ঘটনা।