হাসপাতাল আছে ডাক্তার আসে না, হিলি সীমান্ত শহরে মড়ক পশুদের
বালুরঘাট, ১৯ সেপ্টেম্বরঃ পশু হাসপাতালে দিনের পর দিন চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে সঠিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত এলাকার মানুষজন । নিজেদের গৃহপালিতি পশুদের চিকিৎসা করাতে না পারায় মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে সেগুলি । বৃহস্পতিবার এমনি অভিযোগ তুলে হিলি সমষ্টি প্রাণী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান উত্তেজিত বাসিন্দারা । পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে চিকিৎসকের উপর মারমুখী হয়ে ওঠেন উত্তেজিত বাসিন্দারা। ঘটনার খবর পেতেই এলাকায় ছুটে যায় হিলি থানার পুলিশ। শেষে বিডিও পৌঁছে বাসিন্দাদের বুঝিয়ে পরিস্থিত স্বাভাবিক করে।
হিলি সমষ্টি প্রাণী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন চিকিৎস্য সহ চারজন কর্মী থাকার কথারয়েছে। তবেএকজন চিকিৎসক সহ এক কর্মী দিয়ে হাসপাতালে পরিষেবা চালানো হচ্ছিল। বাসিন্দাদের অভিযোগ তার পরেও মাঝে মধ্যে ওই চিকিৎসক না আসায় শুধুমাত্র একজন সহায়ক কোন মতে হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে গ্রামের অসুস্থ গরু, কুকুর সহ গৃহপালিত পশুদের চিকিৎসা করাতে পারছেন না তাঁরা। বছরের বেশীরভাগ সময় হাসপাতালে চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকার প্রতিবাদে বুধবার বিডিওর কাছে নালিশ করেন বাসিন্দারা। একপ্রকার চাপে পড়ে এদিন হাসপাতালে আসা মাত্র চিকিৎসককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান উত্তেজিত মানুষ জন। অনেকে মারতে পর্যন্ত উদ্যত হয়েছে। ঘটনার খবর পেতেই পুলিশ পৌঁছায় এলাকায়। যদিও পরবর্তীতে খোদ বিডিওর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
সূত্রের খবর, হিলি সমষ্টি প্রাণী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক কুন্তল রায় অন্য একটি হাসপাতালের দায়িত্বেও রয়েছেন। যে কারণে বেশিরভাগ সময় এখানে অনুপস্থিত থাকেন। যদিও এক জন কর্মী যৎসামান্য পরিষেবা দিয়ে টিকিয়ে রেখেছেন হাসপাতাল।
এলাকার বাসিন্দা বাবিন দাস বলেন, বুধবার তিনি তাঁর একটি কুকুরের চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন ওই হাসপাতালে । কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় পরিষেবা না পেয়ে মৃত্যু হয়েছে তার। যার প্রতিবাদেই এদিন হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
হাসপাতালের চিকিৎসক কুন্তল রায় বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগ। বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকার দরুন তিনি আসতে পারেনি। নিয়ম মেনেই তিনি পরিষেবা দিয়ে আসছেন।
হিলির বিডিও সঞ্জয় সুব্বা জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনি গুরুত্ব সহকারে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।