শান্তিনিকেতনের খোয়াইহাটের স্বাদ মিলবে বালুরঘাটে, সোনাঝুড়ি আদলে হলো সোনারবির হাট ১৯২৮ ক্লাবে
১৪ই সেপ্টেম্বর, বালুরঘাটঃ শান্তিনিকেতনের সংস্কৃতি ও শিল্পকে সেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে আম বাঙ্গালি, সব প্রজন্মকেই বরাবর টানে বোলপুরে, আর বোলপুরে যাবো কিন্তু খোয়াই হাটে গিয়ে কেনা কাটি করবো না, সেই ভুল সাধারণত করে না কোন পর্যটক, কিন্তু যদি আপনি সেই ভুল করেই থাকেন কিম্বা খোয়াই হাটে যাবার ইচ্ছা থাকলেও তা কোন দিন বাস্তবে পূরণ হয়নি, তবে আপনি অবশ্যই চলে আসুন শনি রবি দুইদিন বালুরঘাট ১৯২৮ ক্লাবে। সোনাঝুড়ির সেই হাট যেন সম্পূর্ণ তুলে এনে বসানো হয়েছে বালুরঘাট ১৯২৮ ক্লাবের আয়োজনে করা এই সোনারবির হাটে। এইদিন প্রদীপ জ্বালিয়ে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ডাঃ দেবব্রত ঘোষ ও বালুরঘাট ১৯২৮ ক্লাবের অন্যান্য সদস্যরা।
হাটের বিভিন্ন স্টলে মিলবে শান্তিনিকেতন, বীরভূম, বাকুড়া ও পুরুলিয়ার নানাধরনের শিল্প ও সংস্কৃতির নানা নিদর্শন। থাকছে পুরুলিয়ার ছো-মুখোস, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার নানা মাটির তৈ্রি মূর্তি, গহনা, শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন পোড়ামাটির গহনা থেকে নানা ধরনের নিদর্শন। থাকছে শান্তিনিকেতন বুটিক সহ বইয়ের স্টল। একপ্রকার রাঢ় এলাকার বিভিন্ন সাংস্কৃতিতে ভরপুর একটা জমজমাট মেলা। সেইসঙ্গে বাড়তি প্রাপ্তি বাউল থেকে ঝুমুর নিত্য, নানা ধরনের লোক সংস্কৃতির ভরপুর অনুষ্ঠান। একপ্রকার বলা যেতে পারে ১৯২৮ ক্লাব পুরো শান্তিনিকেতন কে যেন তুলে নিয়ে এসেছে বালুরঘাটের মাটিতে। এই সব কিছুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে মেলার পরিবেশ কেউ যেন সাজিয়ে নেওয়া হয়েছে শান্তিনিকেতনের পরিবেশের সঙ্গে তাল মিনিয়ে।
ক্লাব সম্পাদক দুর্গা শঙ্কর সাহা আমাদের জানান তাদের এই ভাবনা ছিলো অনেক দিনের, যার প্রধান উদ্যোগক্তা ক্লাব সদস্য ও এই অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ডাঃ দেবব্রত ঘোষ। তাই বোলপুরের খোয়ায়হাটকে তুলে বালুরঘাটের ১৯২৮ ক্লাবে আনা সহজ একটা কাজ ছিলো না, ক্লাবের সকল সদস্যের ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠাতেই এই অনুষ্ঠান বাস্তবে রূপ পেতে পেরেছে। প্রথম বছর যতটা পারা গেছে করার চেষ্টা করা হয়েছে। আগামীতে যাতে আরো ভালো ভাবে করা সম্ভব হয় তা নিয়ে চিন্তা শুরু করা হয়েছে। সবাইকে সাদর আমন্তন জানানো হয়েছে এই সোনারবির হাটে।