বাংলায় এন.আর.সি বাইরে আসতে পারে ১ কোটির বেশি মানুষ, বাংলা অসম সীমান্তে সতর্ক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা
১১ই সেপ্টেম্বর, কোচবিহারঃ আসামের প্রায় ১৯ লক্ষ্য মানুষ স্বীকৃ্তী পেলনা ভারতীয় নাগরিকত্বের, এন আর সি আইনের বাইরে থাকে এইসব মানুষদের এখন ভবিষৎ অনিশ্চিত। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ গৃহমন্ত্রক সতর্ক করেছে এই ১৯ লক্ষ মানুষ যেন আসাম হয়ে বাংলায় প্রবেশ করতে না পারে। তাই কড়া করা হয়েছে অসম বাংলা সীমান্ত। এর পাশাপাশি এন.আর.সি নিয়ে বাংলার উত্তরবঙ্গে সতর্ক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বিশেষ করে কুচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়িতে কড়া নজরদারী চলছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার।
কেন্দ্রীয় সরকার বার বার স্পষ্ট করছে আসামের পরে এবার বাংলায় প্রয়োগ করা হবে এন.আর.সি আইন, যার পর থেকে বিজেপির বিরূদ্ধে এক জোট হয়ে ময়দানে লড়াই শুরু করেছে বাম, কংগ্রেস ও বাংলার শাসক দল তৃণমূল। তাদের স্পষ্ট দাবী বাংলার এন.আর.সি প্রয়োগ করা হবে না। আর তাই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে নজর রাখতে বলা হয়েছে কোন কোন রাজনীতি দল এন.আর.সি প্রসঙ্গে ময়দানে সুর চড়াই। এছারাও বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক সব দল গুলোর কর্মসূচীর উপর কড়া নজরদারী চালাতে নির্দেশ গৃহমন্ত্রকের বলে সুত্রের খবর। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সুত্রে জানাযায়, আসামের থেকেও অনেক বেশী সংখ্যক মানুষ বাংলায় এন.আর.সির বাইরে আসতে পারেশ, আর যা নিয়ে তৈরি হতে পারে ব্যাপক জনরোষ। সুত্রের খবর ১৯৭১ সালের পরে বাংলাদেশ থেকে এই দেশে প্রবেশ করা মানুষের সংখ্যা প্রায় কমপক্ষে ১ কোটি ছাড়াতে পারে। যে সংখ্যা নেহাত কম নয় বলেই ধারনা করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
তাই আসামের থেকেও বাংলায় এন.আর.সি প্রয়োগ অনেক কঠিন কাজ বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আর যেভাবে বিজেপি বিরোধী শক্তি একত্রিত হয়ে এন.আর.সির বিরোধিতা শুরু হয়েছে বাংলায় তাতে এই আইন প্রয়োগ একটা বড় চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করছে তারা। তাই এখন বাংলায় বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে, যেখানে গত লোকসভা নির্বাচনের পরে বিজেপি বড় শক্তি হয়ে উঠেছে, সেইখানে রাজনৈতিক দল গুলোর কাজ কর্মের উপর লক্ষ্য রাখা ছাড়াও নজরদারী চলছে আসাম সীমান্ত দিয়ে বাংলায় প্রবেশ করা মানুষদের উপর। যা থেকে মনে হচ্ছে হয়তো খুব শীঘ্রই বাংলায় প্রয়োগ হতে চলেছে এন.আর.সি।