স্ত্রীর পরকীয়ার প্রতীবাদে প্রেমিকের বাড়িতে চড়াও স্বামী, রাতের অন্ধকারে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন অভিযুক্ত
বালুরঘাট, ৫ সেপ্টেম্বরঃ পরকীয়ার প্রতিবাদে স্ত্রীর প্রেমিকের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে সদলবলে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে । হামলাকারীদের হাঁসুয়ার কোপ থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ভীতসন্ত্রস্ত প্রেমিক । একমাত্র সন্তানের জীবণ বাঁচাতে মহিলার স্বামীর পা ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন প্রেমিকের মা বাবা । দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থানার ডাঙ্গা পঞ্চায়েতের জেলাপাড়া এলাকার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । ঘটনার পরেই বৃহস্পতিবার বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্তের পরিবার । পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে ।
জেলাপাড়ার বাসিন্দা বাপী দাস শহরের রঘুনাথপুর এলাকায় একটি বেসরকারি প্যাথলজি ল্যাবের কর্মী । সেখানেই দীর্ঘদিন কাজের সুবাদে স্থানীয় বাসিন্দা ফিলিপ হেমব্রমের স্ত্রী শ্রাবণী বর্মনের সাথে তার পরিচয় । ধীরেধীরে তা পরকীয়ায় পৌছায় । সেই সূত্রেই মাঝে মধ্যেই বাপীর বাড়িতে রাত কাটাত শ্রাবণী বলে অভিযোগ । সুযোগ বুঝে একে অপরের বাড়িতে আসা যাওয়ায় করত বলে জানা গেছে । এর মাঝেই ভিনরাজ্যে কাজ করা ফিলিপ নিজের স্ত্রীর পরকীয়ার ঘটনা সম্প্রতি জানতে পারে । যার পরেই বুধবার রাতে সশস্ত্র দলবল নিয়ে বাপীর বাড়িতে চড়াও হয় ফিলিপ । ভাঙচুর করা হয় টিনের বাড়িঘর । সেখেই অন্ধকারের মধ্যে বাপীকে সামনে পেয়ে তাঁকে লক্ষ্য করে ধারালো হাঁসুয়ার কোপ দেয় উত্তেজিতরা । অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায় বাপী । যার পরেই ফিলিপের হাত পা ধরে এক মাত্র ছেলের জীবণ ভিক্ষে চায় বাপীর মা শ্রীমতী দাস ও বাবা রবি চরণ দাস । ঘটনার পর সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যায় ফিলিপ । সকালে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে তাঁরা ।
পরকীয়ায় অভিযুক্ত বাপী দাস বলেন, একসাথে কাজ করায় সন্দেহ বশত তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে । তাঁকে প্রাণে মারারও চেষ্টা হয় ।
বাপীর মা শ্রীমতী দাস ও বাবা রবি চরণ দাস বলেন, রাতের অন্ধকারে সশস্ত্র দলবল নিয়ে তাঁদের বাড়িতে হামলা চালানো হয় । ভাঙচুরের পাশাপাশি তাঁদের ছেলেকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে । বিষয়টি তাঁরা পুলিশকে জানিয়েছেন ।
বালুরঘাট থানার আইসি জয়ন্ত দত্ত বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ।