গঙ্গারামপুরে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে লরি পিষ্ট হয়ে তিন সিভিক সহ মৃত পাঁচ
বালুরঘাট ২ সেপ্টেম্বরঃ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চায়ের দোকানে লরি ঢুকে মৃত্যু পাঁচজন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চার জনের, পরে একজন হাসপাতালে মারা যায়। আহত বেশ কয়েকজন। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরে। মৃত তিন সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম তফজ্জল মিয়া (২৮), আয়ন দাস ( ২৭), ও প্রকাশ দাস ( ২৮) ও বাকি দুজন স্থানিও বাসিন্দা বিনয় হালদার (২৭), নিমাই রায় (৬০)। এদের সবার বাড়ি গঙ্গারামপুর এলাকায়।আহত এক সিভিক ভলেন্টিয়ারস্ বিধান দাসের মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে।
পুলিশ সুত্রে জানিয়েছে রাত আড়াইটে নাগাদ গঙ্গারামপুরের পুনর্ভবা ব্রিজে ওঠার মুখে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চায়ের দোকানে ঢুকে যায় লরিটি। ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় চারজনের। তার মধ্যে দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ারস্ ও দুইজন স্থানিয় বাসিন্দা। আহতদের গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে প্রথমে ভর্তি করানো হলেও, পরে দুজন আহত সিভিক ভলান্টিয়ারস্ এরমধ্যে একজনকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও অন্যজনকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে রায়গঞ্জে স্থানান্তরিত করা সিভিক প্রকাশ বর্মন রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে মারা গেছেন।
সুত্র মারফৎ জানাগেছে ওই চায়ের দোকানটি প্রতিদিন সারারাত খোলা থাকে। পেট্রলিং ডিউটিরত ওই চার সিভিক ভলেন্টিয়ারস্ মোটর সাইকেল নিয়ে সেখানে চা খেতে যান। সে সময় স্থানিয় দুই বাসিন্দা ওই চায়ের দোকানে চা খেতে আসে। চায়ের দোকানের মালিক তাদের বসতে বলে নিজে স্থানিয় টিউবয়েল থেকে পানীয় জল আনতে যান। এই সময় গঙ্গারামপুরের দিক থেকে বুনিয়াদপুরের দিকে যাওয়া একটি লরি পুনর্ভবা নদীর ব্রিজ পেরেয়ি এসে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে তীব্র গতিতে ওই চায়ের দোকানে ধাক্কা মেরে পাশের খালে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই ওই চারজনের মৃত্যু হয়। আহত হয় বেশ কয়েকজন। তাদের উদ্ধার করে স্থানিয়রা হাসপাতালে নিয়ে যায়। অদ্ভুত ভাবে জল আনতে গিয়ে প্রানে বেঁচে যান চায়ের দোকানের মালিক। পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও লরিটির চালক ও খালাসি এখনও পলাতক।