৫০ তম বর্ষপূর্ত্তি উৎসব পালন করলো বালুরঘাট ত্রিতীর্থ
২৬শে আগষ্ট, বালুরঘাটঃ ত্রিতীর্থ বালুরঘাটের এমন একটি আইকন, যা রাজ্যের মানুষের কাছে বালুরঘাটের প্রথম পরিচয়ের নাম হয়ে সামনে আসে। ৫০ বছরের এই প্রতিষ্টান জন্ম দিয়েছে একাধিক অভিনেতা, অভিনেত্রী থেকে কালজয়ী নানা নাটকের। যা শুধু বালুরঘাটে মঞ্চস্থ্য নয়, রাজ্য এমনকি সারা দেশের বিভিন্ন নাট্য হলে নাট্যপ্রেমী মানুষের কাছে বিশ্বয় হয়ে সামনে এসেছে। তিন বিজ্ঞানী, গ্যালেলিও, জল, দেবী গর্জন, ভাঙ্গাপট, অসমাপিকা, চিরকুমার সভা, দেবাংশির মতো সারা জাগানো নাটক মঞ্চ কাপিয়ে দিয়েছিলো সারা বাংলায়, রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলো কলকাতার বিভিন্ন দলকে। আর এইসব নাটকের নির্দেশক শুধু নয় অভিনেতা হিসাবে যে মানুষটি আজও এই সংস্থার ধারক ও বাহক হিসাবে বালুরঘাটের গর্ব, তিনি হলেন জাতীয় সঙ্গীত নাট্য একাডেমী পুরষ্কারের ভূষিত অধ্যাপক হরিমাধব মুখোপাধ্যায়।
আর সেই সময় থেকে এই সব কালজয়ী নাটকের জন্ম দিয়েছিলেন তিনু ব্যানার্জী, নির্মলেন্দু তালুকদার, করবী গোষ্মামী, অর্ধেন্দু সরকার, সত্য তালুকদার, শান্তিরঞ্জন গ্রুহ, কানাই দত্ত, কমল দাস, রানা রায়, উদয় দাস, রেবা ব্যানার্জী, পুষ্প সমাজদার, মানসী ভৌমিকের মতো সারা জাগানো অভিনেতা অভিনেত্রীরা। একটা সংস্থা একি ভাবে ৫০ বছরে অতিক্রান্ত শুধু নয়, একিধারে জন্ম দিয়েছেন মন্ত্র মুগ্ধ করা একের পর এক নাটক। আর তাই ত্রিতীর্থের মতো সংস্থার গুলোর হাত ধরেই বালুরঘাট পরিচিত হয়েছে নাটকের শহরে। আজ যখন নাট্যদল গুলোর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে সামনে এসেছে নাটক মুখী না হওয়া দর্শক, হারিয়েছে আগের জৌলুস, তখনও মঞ্চে নিয়মিত ত্রিতীর্থের প্রযোজনা। ২৬শে আগষ্ট ৫০ তম বর্ষ পূর্তিতে এইদিন সকালে দলের পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি সন্ধ্যা মঞ্চস্থ হবে সাম্প্রতিক কালের কিছু নাটক, যার মধ্যে রয়েছে চৌর্যাপদ, অন্তর্ধান, বন্দুকের মতো নাটক। সংস্থার পরিচালক অধ্যাপক হরিমাধব মুখোপাধ্যায় আমাদের জানান ৫০ বছরের নানা স্মৃতি এই সংস্থার প্রতিটি ইটে গেথে রয়েছে। অনেক অভিনেতা অভিনেত্রী আজ এই পৃথিবীতে নেই, কিন্তু তাদের সবার অবদানেই গড়ে উঠেছে ত্রিতীর্থ।