নবম শ্রেনীর গনিত বইয়ে ভুল তুলে অভিযোগ করলেন বালুরঘাটের গনিত গবেষক মিহির সমাজদার

বালুরঘাট ১৭ আগষ্টঃ সরকারি নবম শ্রেনীর অংকের ” গনিত প্রকাশ ” পাঠ্য বইয়ের সপ্তম অধ্যায়ে ” বহুপদী সংখ্যা মালা” তে গানিতিক বিষয় বস্তুকে বিকৃত ভাবে প্রকাশিত হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ভুল অংক শিখছে বলে অভিযোগ তুললেন বালুরঘাটের বিশিষ্ট গনিত বই লেখক, গনিত গবেষক শিক্ষাবিদ মিহির সমাজদার। পাশাপাশি তিনি গনিতের এই পাঠ্য বইয়ে থাকা ভুল গুলো শুধরে নেবার জন্য ২০১৭ সালে মাধ্যমিক পর্ষদ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে চিঠি দিলেও সেই ভুল গুলি শুধরে নতুন পাঠ্য বই প্রকাশ করবার ব্যাপারে হেল দোল নেই মধ্য শিক্ষা দফতরের বলে তিনি আজ অভিযোগ জানান।

বালুরঘাট শহরের অভিযাত্রী ক্লাব পাড়ার বাসিন্দা তথা বালুরঘাট থানার খাসপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক মিহির সমাজদার আজ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ থেকে প্রকাশিত ” গনিত প্রকাশ ” বইটি তে থাকা ভুল গুলি তুলে ধরে এই অভিযোগ করেন। পাশাপাশি তিনি পুরোন বিশিষ্ট গনিত লেখকদের গনিত পাঠ্য বই গুলি দেখিয়ে তার বক্তব্য যে সত্য তা প্রমানিত করার চেষ্টা চালান।

গনিত গবেষক মিহির সমাজদারের অভিযোগ নবম শ্রেনীর গনিত বইয়ের ” বহুপদী ( polynomial) অধ্যায়ের ৯৭, ৯৮, ১০০ পৃষ্ঠায় ” সংখ্যা মালা মাত্রা ” নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তার অভিযোগ ওই ” মাত্রা ” কথাটির পাশে ব্রাকেটের মধ্যে যে ইংরেজী তে Degree কথাটি লেখা রয়েছে তা কখনই ঠিক নয়। কেননা গানিতিক বিষয়ের দৃষ্টি কোনে “” মাত্রা ” কথাটির অর্থ কখনই Degree নয়।তার আর ও অভিযোগ আমরা সকলেই জানি মাত্রা শব্দটির ইংরেজী নাম Dimension এবং Degree শব্দের বাংলা নাম ” মান। ”

ওই গনিত বিশেষজ্ঞ মিহির সমাজদারের আরও অভিযোগ গনিতে কোন গানিতিক বক্তব্য একই সংগে সত্য এবং মিথ্যে হতে পারেনা। কোন গানিতিক বক্তব্য হয় সত্য হবে না হয় মিথ্যে হিসেবে গন্য হবে। এ ক্ষেত্রে ছাত্র ছাত্রীদের ভুল ব্যাখা দেওয়ায় তারা সঠিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত থাকার পাশাপাশি তারা ভুল শিখে আসছে। যার ফলে পরে তাদের বাইরের রাজ্যের কোন বোর্ডের আন্ডারে পরীক্ষায় বসলে এবং সেখানে এই অংক প্রশ্ন এলে তার উত্তরে তারা যদি এই ভুল অংক করে তাহলে তারা ওই পরীক্ষায় তাদের কাংখিত নম্বর কখনই পাবে না বলেই তিনি দাবি করেন।

তার আরও দাবি তিনি বিষয়টি শুধরে নিতে নিজে তো মধ্য শিক্ষা পর্ষদকে চিঠি লিখে ছিলেন এমনকি ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে উকিলের মধ্যমে বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করেও সেই ভুল এখনও শোধরানোর কোন ব্যবস্থ্যাই করেনি মধ্য শিক্ষা বোর্ড। যার ফলে বিদ্যালয় গুলিতে বছরের পর বছর ছাত্র ছাত্রীরা ওই ভুল অংক শিখে নিজেদের ভবিষ্যত ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *