কাউন্সিলরকে বাড়িতে আটকে রাখার অভিযোগে অপহরন মামলা দায়ের হলো বিপ্লব মিত্র ও প্রশান্ত মিত্রের বিরুদ্ধে
৫ই আগষ্ট, গঙ্গারামপুরঃ গঙ্গারামপুর পুরসভার ৬ জন কাউন্সিলরকে বাড়িতে আটকে রাখার অভিযোগে জামিন অযোগ্য ধারায় অপহরন মামলা দায়ের হলো বিপ্লব মিত্র ও প্রশান্ত মিত্রের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ৬ জন কাউন্সিলর তাদের দেহরক্ষীদের নিয়ে বিপ্লব মিত্রের বাড়িতে গেলে, দেহরক্ষীদের বাইরে রেখে ছয়জন কাউন্সিলর বিপ্লব মিত্রের বাড়িতে প্রবেশ করে। এরপরে দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও কাউন্সিলররা ফিরে না এলে, দেহরক্ষীরা গঙ্গারামপুর থানায় ঘটনার কথা জানাই। এরপরে গঙ্গা রামপুর থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে বিপ্লব মিত্রের বাড়ীতে তল্যাসি চালালে, বাড়ির পেছন দরজা দিয়ে পালিয়ে যায় ছয় কাউন্সিলর বলে জানাযায় পুলিশ সুত্রে।
এরপরে দেহরক্ষীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গঙ্গারামপুর থানায় জামিন অযোগ্য ধারায় অপহরন মামলা দায়ের হয় বিপ্লব মিত্র, প্রশান্ত মিত্র ও চিরঞ্জীব মিত্রের বিরুদ্ধে। যদিও এখনও পর্যন্ত হদিস না পাওয়া কাউন্সিলরদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। এমনকি সোমবার সকালে গঙ্গারামপুর পুরসভার অনাস্থাতেও অনুপস্থিত থাকে প্রশান্ত মিত্র সহ বাকি ছয় কাউন্সিলর। যারপরেই পুলিশ দেহরক্ষীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিপ্লব মিত্র, প্রশান্ত মিত্র ও চিরঞ্জীব মিত্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। গঙ্গারামপুর থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুমার কুন্ডু আমাদের জানান দেহরক্ষীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিপ্লব মিত্র, প্রশান্ত মিত্র ও চিরঞ্জীব মিত্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বলে প্রতিটি কাউন্সিলরদের অনাস্থা ভোট পর্যন্ত নিরাপত্তা দেবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাই অনাস্থা ভোটের আগে হঠাৎ করে বিপ্লব মিত্রের বাড়ি থেকে ছয় কাউন্সিলর উধাও হবার ঘটনা ঘটে। ছয় কাউন্সিলর তাদের দেহরক্ষীদের বাড়ির বাইরে রেখেই বিপ্লব মিত্রের বাড়িতে প্রবেশ করে। কিন্তু তাদের আর কোন হদিস না পাওয়া যাওয়ায় এই মামলা দায়ের হয়েছে। এমনকি সোমবার অনাস্থা ভোটেও তাদের পুরসভায় উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।
যদিও এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে প্রশান্ত মিত্র দাবী করেন একপ্রকার মিথ্যা মামলায় তাদের ফাঁসানো হয়েছে, ছয় কাউন্সিলর সমন্ধে কোন তথ্য তাদের কাছে নেই, কেন তারা এইদিন পুরসভায় উপস্থিত ছিলেন না তা তার জানানেই। তিনি তার দুই ভাইকে ইচ্ছাকৃ্ত ভাবে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। তারা মামলাকারি পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করবেন। আইনের প্রতি তাদের আস্থা রয়েছে।