বিপ্লব মিত্র বিজেপিতে যোগদানের পরেও গঙ্গারামপুর পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলররা তার বিপক্ষে
২৬শে জুলাই, গঙ্গারামপুরঃ বিপ্লব মিত্র দক্ষিন দিনাজপুর জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্যদের নিয়ে বিজেপিতে গেলেও গঙ্গারামপুর পুরসভার আস্থা ভোটে বিজেপি কাউন্সিলররা যেতে পারে বিপ্লব মিত্রের ভায়ের বিপক্ষে। শুক্রবার তৃণমূল কাউন্সিলরদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রশান্ত মিত্রের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমান করলেন বিজেপি কাউন্সিলর অশোক বর্ধন। এদিন গঙ্গারামপুর পুরসভার ৯ তৃণমূল কাউন্সিলরের সাথে বালুরঘাট জেলা প্রশাসনিক ভবনে জেলা শাসক ও গঙ্গারামপুর মহকুমা শাসকের সাথে দেখা করেন তিনি। সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অশোক বর্ধন তৃণমূলের পাশে দাঁড়ানোয় শোরগোল জেলায়। যা নিয়ে রীতিমতো গুঞ্জন ছড়িয়েছে বিজেপি দলের অন্দরেও।
বিজেপি কাউন্সিলর অশোক বর্ধন জানিয়েছেন, বিপ্লব মিত্রের জন্যই তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। এখানে এসেছে বিপ্লব মিত্রের বিরুদ্ধে যেকোন মঞ্চেই তিনি হাজির হবেন। সেই কারনেই তিনি তৃণমূল কাউন্সিলরদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছেন। এবারের লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের পরাজয় সামনে আসতেই জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিলো বিপ্লব মিত্রকে। এরপরেই তিনি যোগদান করেন বিজেপিতে। যার পরেই বিপ্লবকে চাপে রাখতে তার ভাই প্রশান্ত মিত্রকে দল থেকে বহিস্কার করে তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষ। এদিকে প্রশান্ত মিত্র নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে ওঠে। তার বিরুদ্ধে যাওয়া তৃণমূল কাউন্সিলরদের দমিয়ে রাখতে একাধীক কর্মসূচী গ্রহন করেন তিনি। কিন্তু পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকারের নেতৃ্ত্বে পুর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের ডাক দেন। যাতেই কিছুটা বেকায়দায় পরেন চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র। ২৩শে জুলাই অনাস্থার দিন থাকলেও ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকারের আনা অনাস্থা প্রস্তাবকেই গ্রহন করেন মহামান্য উচ্চ আদালত, এরপরেই ৫ই আগষ্ট ঠিক হয় অনাস্থার দিন। ইতিমধ্যে ১৮জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১১জন কাউন্সিলর তৃণমূলের দিকে বলে দাবী করেন দক্ষিন দিনাজপুর জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ। এদিন গঙ্গা রামপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার জানিয়েছেন চেয়ারম্যানের তুঘলকি চালে পুরসভার টাকা নয়ছয় হচ্ছে। চলছে নানা বেআইনি কাজ। যার প্রতিবাদ করলেই চেয়ারম্যান তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেবার চেষ্ঠা করেন। তাই দুর্নীতি গ্রস্থ চেয়ারম্যানকে সরিয়ে দেবার জন্যই তার বিরুদ্ধে অনাস্থা, যা ৫ই আগষ্ট প্রমান হবে।