সংসদে গঙ্গারামপুরে মৎস গবেষণা কেন্দ্র খোলার আরজি জানিয়ে সরব হলেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার

১৭ই জুলাই, দিল্লিঃ উত্তরবঙ্গ নয়, সারা রাজ্যে দক্ষিন দিনাজপুর জেলায় অবস্থিত সব থেকে বেশী জলাভূমি, আর এই জলাভূমিতে চাষ হয় নানা ধরনের মাছ। দক্ষিন দিনাজপুর জেলা তিনদিক বাংলাদেশ ঘেরা হলেও এই জেলায় অবস্থিত ছোট বড় ১১টি নদী, যার মুখ্য ও প্রধান নদী গুলো হলো আত্রেয়ী, পুর্ণভবা ও টাঙ্গন। তবে যমুনা, ব্রাক্ষ্মনি, শ্রী, শ্রীমতি, ইছামতি ছাড়াও আরো বেশ কিছু ছোট নদী ও খাঁড়ি প্রবাহিত হয়েছে এই জেলায়। এতো জলাভূমি বেষ্ঠিত এই জেলায় কৃ্ষি ও মৎস চাষ এই জেলার অর্থনীতির প্রধান ও মুখ্য হয়ে এসেছে প্রাচীন যুগ থেকেই। আত্রেয়ী, পুর্ণভবা, শ্রীমতির মতো নদী পুরানেও নাম রয়েছে। তাই মাছ চাষ এই জেলার প্রাচীন ও প্রধান পেশার অন্যতম, আর যার প্রধান ক্ষেত্র ভূমি হলো গঙ্গারামপুর। পুরাণিক কাহিনী অনুসারে এই জেলায় রয়েছে কালদীঘি, ধলদীঘি, আলতা দীঘি, তপন দীঘি, মালিয়ান দীঘি, মহিপাল দীঘি, গড়দীঘির মতো একাধিক দীঘি রাজা মহারাজাদের আমলে খনন করা হয়েছিলো বলে উল্লেখ আছে। পরে জমিদারি আমল কিম্বা দিনাজপুরের মহারাজার আমলেও খনন হয় একাধিক দীঘি যার অন্যতম হলো রাজা প্রাননাথের স্মৃতিতে প্রানসাগর, পৈতাদীঘির মতো একাধিক দীঘির নিদর্শন মেলে এই জেলায়। যদিও দেশ ভাগ আরো অনেক দীঘিকে এই জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে, তবুও এখনো এই জেলা রাজ্যে বৃহৎ জলাভূমির দাবী রাখে। আর সেই সঙ্গে মাছ চাষেও রাজ্যে অন্যতম জায়গা ধরে রেখেছে।

 

আর এই সব কিছু সংসদ তুলে ধরেন বালুরঘাটের মাননীয় সংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি এদিন বলেন দক্ষিন দিনাজপুর জেলা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় মাছের সরবরাহ করে শুধু নয় এই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা তথা আসাম, মেঘালয় সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন এলাকায় মাছের সরবরাহ করে থাকে। কিন্তু এই পেশাকে আরো বড় করে গড়ে তুলতে প্রয়োজন বেশ কিছু পরিকাঠামো গড়ে তোলা, যা আজ পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি। নেই পর্যাপ্ত সরকারি ব্যাবস্থা, গবেষণা কেন্দ্র, মৎস নিয়ে পঠন পাঠনের ব্যাবস্থা। তিনি সংসদে বলেন এই জেলার মাছ এতো জনপ্রিয় পাশের বহু জেলায় এই জেলার মাছের সুপ্রশংসা রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই দেশে মাছ চাষ বৃ্দ্ধি শুধু নয়, রপ্তানিতেও দেশকে উচ্চ স্থানে নিয়ে যাবার যে যে চিন্তা ভাবনা করেছে, তার কিছুটাও যদি এই জেলায় প্রভাব পরে তবে এই জেলার মাছ চাষ একটা লাভজনক পেশায় গড়ে উঠতে পারে, যার প্রধান ও মুখ্য কাজ হিসাবে গঙ্গারামপুরে একটি মৎস গবেষণা কেন্দ্রে ও এই জেলায় বেশ কিছু হিমঘরের স্থাপন। যা শুধু মাছ নয় এই জেলায় উৎপাদিত সব্জীকে সংরক্ষিত করে রাখা সম্ভব হবে। সংসদে এই ব্যাবস্থাকে বাস্তবায়নে কেন্দীয় সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহনের কথা বলেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *