দক্ষিন দিনাজপুরের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পরিস্থিতি ময়দানে পুলিশ সুপার
বালুরঘাট ১৬ জুলাইঃ দক্ষিন দিনাজপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা হলেও অবনতি হয়েছে। যদিও তা ভয়াবহ আকার ধারন করেনি। তবে একদিকে পুনর্ভবা নদীর জলে গঙ্গারামপুরের বেলবাড়ি এলাকার ফটক পাড়ায় পুনর্ভবা নদীর বাঁধ ভেঙ্গে ওই এলাকা যেমন প্লাবিত হয়ে জল লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। অন্যদিকে বালুরঘাটের আত্রেয়ীর জলে নতুন করে প্লাবিত হয়ে পড়েছে বালুরঘাট শহরের চকভৃগু অঞ্চলের ডাকরা এলাকার বেলাইন সংলগ্ন অঞ্চল। যদিও জেলা সেচ দফতর সুত্রে জানা গেছে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার তিনটি প্রধান নদী পুর্নভবা, আত্রেয়ী ও টাঙ্গনের জল আপাতত বিপদ সীমা অতিক্রম না করলেও একমাত্র পুর্নভবা নদীর জল বাড়ার মুখে রয়েছে। বাকি নদী গুলির জল এখনও তেমন বাড়ার মুখে নেই।
অপরদিকে মঙ্গলবার জেলার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আত্রেয়ী নদীতে নৌকা নিয়ে পতিরাম থেকে বালুরঘাট অবদ্ধি নদী বক্ষে ঘুড়ে দেখেন জেলা পুলিশ সুপার প্রসুন ব্যানার্জী। এদিকে বর্ষা নামতেই প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে পাহাড়ে। তার উপর উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে নদীর জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আত্রেয়ী, টাঙন, পূণর্ভবা নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীগুলি আগ্রাসী চেহারা নিয়েছে। অপরদিকে, গতকাল রাতে ঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডির বিস্তির্ন এলাকা। প্রকৃতির জোড়া আক্রমনে বিপর্যস্ত জনজীবন। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ব্যাহত জনজীবন আত্রেয়ী কলোনীর বাসিন্দাদের। জল বেড়েই চলেছে পূনর্ভবা ও টাঙন নদীতেও। নদীর পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় পঞ্চাশ বিঘা চাষের জমি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। এখনো পর্যন্ত জলমগ্ন প্রায় পঞ্চাশটি র বেশি বাড়ি। অনেকেই উঁচু স্থানে প্রান বাঁচানোর তাদিগে স্থান নিয়েছেন। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, এই রকম পরিস্থিতিতেও প্রশাসনের কোনো আধিকারিকেরও দেখা মেলেনি। যদিও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে। ত্রান সামগ্রীর পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানীয় জলেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।