মন্ত্রী সহ ১১ জন সদস্য নিয়ে সশরীরে জেলা পরিষদে অর্পিতা ঘোষ
১৫ই জুলাই, বালুরঘাটঃ মন্ত্রী কে পাশে রেখে ১১ জন সদস্য নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখিয়ে বিজেপির ছিনিয়ে নেওয়া জেলা পরিষদ পুনদক্ষল করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ। সোমবার এক প্রকার রুষ্ঠ মেজাজে উন্নয়ন ইস্যুতে জেলা পরিষদের সেক্রেটারি মানস হালদারকে ধমক দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর-এর ভাইস চেয়ারম্যান অর্পিতা ঘোষ। সেখানে তার বিরুদ্ধে ওঠা নানান দুর্নীতির অভিযোগ তার কাছে জমা পড়েছে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। আগামীতে এ বিষয়ে জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ করবেন তিনি।
তৃণমূল ভাঙিয়ে বিজেপিতে জেলা পরিষদের ক্ষমতা দখলের এক সপ্তাহ পার হতে না হতেই দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে জেলা পরিষদের পুনর্দখল করার ছবি তুলে ধরতে এদিন মরিয়া হয়ে ওঠেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষ। এদিন তৃণমূলের পক্ষে থাকা ১১ জন সদস্যকে নিয়ে জেলা পরিষদে হাজির হন তিনি। সহকারি সভাধিপতির ঘরে বসে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদার উপস্থিতিতে জেলা অন্যান্য নেতৃত্বদের সাথে বৈঠক করেন অর্পিতা ঘোষ। এ দিনের বৈঠকে দলনেতা প্রবীর রাযকে সর্বসম্মতিক্রমে শীলমোহর দেন তৃণমূল সভাপতি। যদিও এ দিনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায় সহ পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। যা্ত পরেই দলনেতা প্রবীর রায় সহ মন্ত্রীকে নিয়ে জেলা পরিষদের সেক্রেটারির কাছে উন্নয়ন ইসু সহ জেলা জুড়ে থমকে থাকা বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সহ রাস্তা নির্মাণে দুর্নীতির নিয়ে সেক্রেটারিকে ধমক দেন তৃণমূল জেলা সভাপতি। মন্ত্রীকে সঠিক সম্মান না জানানো সেক্রেটারির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অর্পিতা। এদিন জেলা পরিষদের অন্যান্য সরকারি আধিকারিকদের সাথেও কথা বলেন অর্পিতা ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন এদিন সর্বসম্মতিক্রমে জেলা পরিষদের দলনেতা কে ঠিক করা হয়েছে। এর সাথে জেলা জুড়ে থমকে থাকা উন্নয়ন প্রকল্পের একাধিক কাজের পরিস্থিতি নিয়ে সেক্রেটারির সাথে কথা বলেন তিনি। সেক্রেটারির বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তার কাছে জমা পড়েছে বলেও মন্তব্য করেন অর্পিতা। এ বিষয়টি দলনেতা দেখার পরে জেলাশাসককে লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানান তিনি।