দক্ষিন দিনাজপুর জেলায় তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি, সতর্কতা জারি প্রশাসনের
১৫ই জুলাই, বালুরঘাটঃ উত্তরবঙ্গে তিন-চারদিনের ভারী বর্ষণে 2017 এর বন্যা আতঙ্ক উসকে বালুরঘাটে তৈরি হলো বন্যা পরিস্থিতি। ইতিমধ্যে শহর লাগোয়া চকভৃগু এলাকা সহ বালুরঘাট শহরের বেশ কিছু এলাকায় প্লাবন হবার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বালুরঘাট শহরের আত্রেয়ী কলোনির 50 টি পরিবার বন্যার জলে প্লাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যে ডাকরা মধ্যপাড়ার বাঁধ ভেঙে নদীর জল প্রবেশের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন নদীবাঁধে ফাটল এর ছবি সামনে এসেছে এলাকার মানুষজন অভিযোগ তোলেন সারা বছর সেচ দপ্তরের উদাসীনতায় বাঁধ মেরামতি সেইভাবে না হওয়ায় বর্ষায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলেই নদী বাঁধে ফাটল লক্ষ্য করা যায়। বালুরঘাট আত্রেয়ী কলোনির 50 টি পরিবারকে ইতিমধ্যে ফ্লাড সেল্টারে স্থানান্তর করা হয়েছে। বালুরঘাটে আত্রেয়ী, টাঙ্গন, যমুনা তিন প্রধান নদী এই নদীর জল প্রাথমিক বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। তবে গঙ্গারামপুরে পুনর্ভবা বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।
জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়া্ ডুয়ার্সের নদীগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় সেই জল নিচে নেমে এসে এই জেলার নদী গুলোতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। গত ক’দিনের বৃষ্টিতে জল বাড়লেও উত্তরের নদীগুলোর বন্যা পরিস্থিতির কারণেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নদীগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির আকার নিয়েছে। ইতিমধ্যে আত্রেয়ী নদীর বেশ কিছু এলাকার নদী বাঁধে ফাটল লক্ষ্য করা গেছে। সোমবার ভোর রাত থেকে বালুরঘাট শহরে আত্রেয়ী কলোনি এলাকার মানুষজন এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। একই সাথে ডাকরা এলাকাতেও বাঁধে একাধিক স্থানে ফাটল লক্ষ্য করা যায়। যা দিয়ে বেশ খানিকটা করে জল ঢুকেছে শহরের বিভিন্ন এলাকায়। জেলা প্রশাসন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী আত্রেয়ী, টাঙ্গন ও যমুনা নদীর জল প্রাথমিক বিপদসীমার কাজ দিয়ে বইছে, তবে পুনর্ভবা নদী ইতিমধ্যে বিপদসীমা ছাড়িয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। যা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে জেলা প্রশাসনের। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের তরফে এ সমস্ত দপ্তরে সর্তকতা জারি করেছে। বালুরঘাট গঙ্গারামপুর এবং বুনিয়াদপুর পৌরসভাতে প্রশাসনিক স্তরে মিটিং করে বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা রাখতে নির্দেশ দিয়েছে। জেলা প্রশাসন ত্রাণ সামগ্রী, ত্রিপ্ শুকনো খাবারের মজুদ নিয়েও ইতিমধ্যে জেলাশাসক দফায় দফায় বিভিন্ন ব্লক ও পৌরসভার সঙ্গে প্রশাসনিক মিটিং করেন।
ডাকরা এলাকার বাসিন্দা অঞ্জলি দাস আমাদের জানান এই এলাকায় নদী বাঁধে ফাঁটলের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক এলাকায় সেই সব ফাঁটল দিয়ে নদীর জল এলাকায় প্রবেশ করেছে। বন্যার এই পরিস্থিতি নিয়ে তারা আতঙ্কিত।