বালুরঘাট হাওড়া প্রতিদিন করবার বিষয়ে আশ্বাস রেলমন্ত্রীর, পীযুষ গোয়েলের এমনই চিঠি বালুরঘাটের সাংসদকে
১২ই জুলাই, দিল্লিঃ খুব শীঘ্রই বালুরঘাট হাওড়া এক্সপ্রেস প্রতিদিন হবার সম্ভাবনা তৈরি হলো।রেলমন্ত্রী বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে চিঠি দিয়ে জানালেন ১৩১৬৩ ও ১৩১৬৪ বালুরঘাট হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেনকে প্রতিদিন করবার বিষয়ে ভাবনাচিন্তার পাশাপাশি যাবতীয় প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারতীয় রেল। ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত নির্দেশ পাঠানো হয়েছে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে। সম্ভবত কয়েক মাসের মধ্যেই বালুরঘাট হাওড়া এক্সপ্রেস প্রতিদিন চলাচল শুরু করবে বলে আশা প্রকাশ করেন বালুরঘাটের সাংসদ ডক্টর সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন সংসদে এই বিষয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি তিনি রেলমন্ত্রীকে এই ট্রেন প্রতিদিন করবার বিষয়ে চিঠি লিখেছিলেন। তার উত্তরে রেলমন্ত্রী এ দিন জানান তিনি তাঁর চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বালুরঘাট হাওড়া এক্সপ্রেসকে প্রতিদিন করবার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নির্দেশ পাঠিয়েছেন। সম্ভবত আর কিছুদিনের মধ্যেই এই ট্রেনটি প্রতিদিন চলাচলের বাস্তব চিত্র দেখতে পাবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মানুষ।
পাশাপাশি তিনি বলেন বালুরঘাট থেকে দিল্লি সরাসরি যাবার জন্য তিনি মালদার ফারাক্কা এক্সপ্রেস কিংবা অন্য কোন ট্রেনকে বালুরঘাট পর্যন্ত সম্প্রসারণ করবার দাবি জানিয়েছেন। তিনি সংসদেও এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বালুরঘাট থেকে দেশের রাজধানীতে যাওয়ার সরাসরি কোন ট্রেন পরিষেবা আজ পর্যন্ত চালু হয়নি। বালুরঘাটের রেল যোগাযোগ এতই করুণ দশা যে স্বাধীনতার 70 বছর পরেও এই জেলার মানুষকে ট্রেনের ন্যূনতম পরিষেবা পেতে কেন্দ্রের কাছে দরবার করতে হয়। বিগত দিনে কেন্দ্রীয় সরকার এই জেলার মানুষকে বার বার হতাশ করেছে। অটল বিহারি বাজপেয়িজি সরকারের আমলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রথমবার রেল মানচিত্রে স্থান পেয়েছিল যার ফলে স্বাধীনতার 57 বছর পর এই জেলার মানুষ রেল পরিষেবার স্বাদ পেয়েছিল। কিন্তু তার পর থেকে প্রায় 15 বছর অতিক্রান্ত হলেও আজও পর্যন্ত এই জেলায় সঠিক রেল পরিষেবা গড়ে ওঠেনি যাত্রী পরিষেবার পাশাপাশি এই জেলায় নেই কোন পণ্য ট্রেন পরিষেবা। যার জন্য এ জেলার মানুষকে পার্শবর্তি জেলার ওপর নির্ভর করতে হয়। যার জন্য জেলার আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য থেকে শুরু করে জেলার অভ্যন্তরীণ ব্যবসায়ী প্রতিযোগিতা অন্য জেলার তুলনায় ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে। যার একমাত্র কারণ পণ্য পরিবহনের সঠিক পরিকাঠামো গড়ে না ওঠা, যার প্রধান মাধ্যম হলো রেল পন্য পরিষেবা। বারবার দরবার করেও এই জেলায় রেল আজও পর্যন্ত বালুরঘাটে রেক পয়েন্ট গড়ে তোলেনি। আর এই সমস্যার কারণেই পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে এই জেলায় আমদানিকারী পণ্যের দাম অনেকাংশেই বেশি। আর এর ফলে বাংলাদেশে বাণিজ্য অন্য জেলার তুলনায় ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে। এক সময়ের রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর হিলি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যার ফলে এ জেলা শুধু নয় বাইরের ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির মুখে পরছে। সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এই বিষয়ে বিস্তারিত চিঠি রেলমন্ত্রীকে দিয়েছিলেন যার প্রথম দাবিটি এদিন রেলমন্ত্রী চিঠি দিয়ে পূরণ করবার আশ্বাস দিলেন বালুরঘাটে সাংসদকে। এই খবর জেলায় পৌঁছবার পর জেলার মানুষ আশায় বুক বাঁধছে, এ জেলার রেল পরিষেবার সামান্য হলেও উন্নতি হতে চলেছে আগামীতে। যার জন্য জেলার মানুষ সাংসদের ভূমিকায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।