বিপ্লবের হাত ধরে দক্ষিন দিনাজপুর জেলা পরিষদে প্রবেশ বিজেপির, মমতার ছবি রেখেই তৃণমূলকে সাইন বোর্ড করার হুমকি বিপ্লবের
১১ই জুলাই, বালুরঘাটঃ পেছনে মমতা ব্যানার্জীর ছবিকে রেখেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে দল বদল করে বিপ্লব মিত্রকে সঙ্গে নিয়ে দক্ষিন দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতির চেয়ারে বসলেন ্লিপিকা রায়। এইদিন বিজেপি নেতৃ্ত্ব্দের নিয়ে নাট্যমন্দিরে একটি কর্মী সভা করেন বিপ্লব মিত্র সহ তৃণমূল থেকে বিজেপিতে দল বদল করা ছয় জন সদস্য। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার, নীলাঞ্জন রায় সহ একাধিক বিজেপি নেতৃ্ত্ব। গত ২৪শে জুলাই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে দল বদল করেন তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র ও দক্ষিন দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায় সহ ১০ জন জেলা পরিষদ সদস্য। যেখানে এইদিনের বিজেপির জেলা পরিষদ অভিযানে জেলা পরিষদের সভাধিপতির চেয়ারের পাশে দেখা গেলো সভাধিপতি সহ পাঁচ জন সদস্যকে। যেখানে ছিলেন সভাধিপতি লিপিকা রায়, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজউদ্দিন মিঞা, কৃ্ষি কর্মাধ্যক্ষ শঙ্কর সরকার, বন কর্মাধ্যক্ষ চিন্তামনি বিহা, শিপ্রা নিয়োগী ও প্রতিমা মন্ডল। সেইদিনের ১০ জনের মধ্যে এইদিন উপস্থিত ছিলেন না বিশ্বনাথ পাহান, গৌ্রী মালি, ইরা রায় ও পঞ্চানন বর্মণ। সভাধিপতি লিপিকা রায় আমাদের বলেন তিনি সবাইকে নিয়েই পুনরায় কাজ করতে চান। তিনি দল বদল করলেও উন্নয়ন অতুট থাকবে।
পেছনে মমতা ব্যানার্জীর ছবিকে রেখেই জেলা পরিষদের সভাধিপতির চেয়ারে লিপিকার রায়কে পাশে নিয়ে বিপ্লব মিত্র হুঙ্কার দেন আগামী তিন মাসের মধ্যে এই জেলায় তৃণমূলের অস্তিত্ব শূন্য হয়ে যাবে। তৃণমূল কংগ্রেস একটা সাইন বোর্ডে পরিনত হবে। তিনি বলেন পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী আগামী দেড় বছরের মধ্যে কোন ভাবেই কেউ জেলা পরিষদে কোন অনাস্থা আনতে পারবে না, এবং তাদের সঙ্গে এক তৃ্তীয়াংশ সদস্য রয়েছে, ফলে দল বিরোধি আইনের আওতায় আসবে না। ফলে এই বোর্ড এখন থেকে বিজেপির অধিনস্ত হলো। এই বক্তব্যের পাল্টা হিসাবে দক্ষিন দিনাজপুর তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ আমাদের জানান বিপ্লব বাবু নতুন আইন জানেন না, তাই মিথ্যা স্বপ্ন দেখছেন। তাকে জানিয়ে দিতে চাই আইনের পরিবর্তন হয়েছে, দল ত্যাগিদের এমনিতেই সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাবে। আজকে ছয়জন সদস্য রয়েছে তার সঙ্গে আগামীতে আর কেউ থাকবে না। তৃণমূল সাইন বোর্ড হবে না সাইন বোর্ডে পরিনত হবে বিপ্লব বাবু।