আত্রেয়ীর জল ইসুতে সরব বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, কিন্তু আত্রেয়ীর জল সমাধান হবে কিভাবে?

২রা জুলাই, দিনাজপুর ডেইলি ডেস্কঃ আত্রেয়ী ইসুতে গত কয়েক বছরে সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্র উভয়কেই, কখনো বালুরঘাটের প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষ সংসদে আবার কখনো বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মুখেও শোনা গিয়েছে আত্রেয়ী জল সমস্যার কথা। আর এবার সেই ইসুতেই সংসদে বক্তব্য রাখেন বালুরঘাটের নতুন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। বক্তব্য সেই একি আত্রেয়ীতে জল সমস্যা বাড়িয়েছে বাংলাদেশের মোহনপুরের রাবার ড্যাম। আমরাও বার কয়েক গিয়ে দেখেছি, দিনাজপুর শহরে ঢোকার ঠিক আগে মোহনপুর দিয়ে আত্রেয়ী প্রভাবিত হয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করে কুমারগঞ্জের সমজিয়া সীমান্ত দিয়ে। সেইখান থেকে আত্রেয়ী ৩৮ কিলোমিটার পথ পারি দিয়ে বালুরঘাট শহরের মধ্যদিয়ে তা ডাঙ্গী সীমান্ত দিয়ে আবার বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এবং প্রায় ৮০ কিলোমিটার পথ পারি দিয়ে চলন বিলে মিশেছে আত্রেয়ী। যেখান থেকে পদ্মা হয়ে আত্রেয়ীর জল মিশেছে বঙ্গোপসাগরে, এক সময়ের সুবিশাল আত্রেয়ী তার আকার কালক্রমে তার ছন্দ ও প্রবাহ ধারা দুই হারিয়ে আজ ক্রমেই জীর্ণতায় পরিনত হয়েছে।

 

কিন্তু আত্রেয়ীর মোহনপুরের আগে তৈরি সেই রাবার ড্যাম আত্রেয়ীর জল ধরে রাখতে সাহায্য করেছে। কিন্তু কি এই রাবার ড্যাম?  বিশেষজ্ঞ মহলের দাবী এই ধরনের নদী বাধ মুলত খুব নিচু উচ্চতার হয়ে থাকে। যার উচ্চতা সাধারনত নদীর উচ্চতাকে মেনে করা হয়ে থাকে। এবং এই উচ্চতার অধিক জল বাঁধ অতিক্রম করে প্রবাহিত হয়। এই ধরনের বাঁধ সাধারনত সেচ ব্যাবস্থা ও বর্ষায় নদীর জলকে খরার সময়ের জন্য ধরে রাখতে সাহায্য করে মাত্র। তাই এই বাঁধের নদী উচ্চতার অধিক জল আটকে রাখার ক্ষমতা এর নেই, নদী বিশেষজ্ঞরা বলছেন বর্তমান পরিস্থিতিতে নদীর জলকে ধরে রাখতে এই ধরনের বাঁধ গড়ে তোলা প্রয়োজনিয়তা আছে। প্রসঙ্গ ক্রমে বলা যেতে পারে এই ধরনের আর একটি বাঁধ বালুরঘাটের ডাঙ্গীতে যদি গড়ে তোলা যায় তবে ভারতে স্থিত ৩৯ কিলোমিটারে বর্ষায় জল ধরে রাখতে পারবে ভারত। যার দিয়ে জেলার সেচ ব্যাবস্থা থেকে মৎস্য চাষ, এমনকি বালুরঘাটের তৈরি পানীয় জল প্রকল্প শুধু নয় কুমারগঞ্জের জলে ফ্লোরাইড সমস্যা দূর করে এই জল থেকেই পানীয় জল প্রকল্প গড়ে তোলা সম্ভব হবে। শুধু তাই নয় ডাঙ্গী ছাড়িয়ে এই প্রকল্প যদি বাংলাদেশের আরো কিছুটা দূরে গড়ে তোলা যায় তবে এই নদী দিয়ে আন্তর্জাতিক নৌ-পরিবহন ব্যাবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। পাশাপাশি নৌ-পরিবহন ব্যাবস্থা গড়ে উঠলে নদীর মধ্যে তৈরি হওয়া চর অনেকাংশে নিয়ন্ত্রিত হবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *