অবৈধ প্রেমে পরে স্বামীকে ঠান্ডা পানীয়তে ঘুমের মিশিয়ে খুনের চেষ্টা

৩০শে জুন, বালুরঘাটঃ অবৈধ প্রেমের ফাদে পরে, স্বামীকে ম্যাংগো শেক এর মধ্যে অধিক পরিমাণে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে প্রানে মারার চেষ্টা করলেন এক গৃহবধু। তবে স্বামী সুস্থ হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হতেই, গহনা ও টাকা নিয়ে চম্পট দিলেন ওই গৃহবধূ। প্রেমিকের সঙ্গেই পালিয়েছেন ওই গৃহবধূ বলে অনুমান প্রতিবেশীদের। এই ঘটনার পর থেকে বালুরঘাট হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন স্বামী আশীষ চক্রবর্তী। পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক আশীষবাবু এদিন হাসপাতালের বেডে শুয়েই তিনি বালুরঘাট থানায় প্রথমে ফোনে ও পরে তদন্তকারী অফিসার এর সামনে লিখিতভাবে স্ত্রী বাসন্তি চক্রবর্তীর নামে অভিযোগ জানান। এদিন দুপুরে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় বালুরঘাট শহরের মিলন সংঘ পাড়া এলাকায়।

জানা গেছে, 13 বছর আগে বালুরঘাটের আসিস চক্রবর্তীর সঙ্গে হিলির মাতাস এলাকার বাসন্তী গোস্বামী এর বিয়ে হয়েছিল। তাদের বর্তমানে একটি বারো বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। আশিষ বাবু প্রাক্তন সেনাকর্মী। তিনি 2009 সালে সেনা থেকে অবসর নেওয়ার পরে, বালুরঘাটে ফিরে তিনি প্রাথমিক শিক্ষকতা করছেন। বর্তমানে তিনি কুশমন্ডির একটি স্কুলে চাকরি রত। আশিষ বাবু জানান যে বছর কয়েক ধরেই তার স্ত্রী বাসন্তীর মোবাইলে ব্যাপক আকর্ষণ তৈরি হয়। এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তিনি প্রচুর ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। এবং বেশ কিছু ঘটনাতে সেই ছেলেদের কাছে তিনি হুমকি বা বিভিন্ন রকম ঘটনার সাক্ষী রয়েছেন। তবে সংসার করার প্রবল ইচ্ছা থেকেই তিনি স্ত্রীকে বুঝিয়ে সংসার করছিলেন। কিন্তু স্ত্রী কিছুতেই শোধরান নি। বার কয়েক পারিবারিকভাবে সালিশি সভার মধ্য দিয়ে স্ত্রীকে বোঝানো হয়েছিল। তার পরেও সমস্যা মেটেনি।
আশীষ বাবুর অভিযোগ, গতকাল রাতে তিনি যখন বাড়ি ফেরেন, তখন তার স্ত্রী তাকে ম্যাংগো শেক খেতে দেন। এবং গ্লাস ভর্তি এত পরিমাণে ওই লিকুইড খেতে অস্বীকার করলে, স্ত্রী প্রায় জোর করেই তাকে খাওয়ায়। খাওয়ার শেষের দিকে আশীষবাবু বেশকিছু ট্যাবলেটের গুড়ো নজর করেন। তা নিয়ে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেও কোনো উত্তর মেলেনি। এর খানিকক্ষণ পরে আসিস বাবু প্রবল অস্বস্তিবোধ করতে থাকেন এবং শারীরিকভাবে দুর্বল হতে শুরু করেন। এই বিষয় নিয়ে তিনি তার স্ত্রীকে বললে, স্ত্রী কর্ণপাত করেননি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি তার আত্মিয় ও প্রতিবেশীদের ফোন করে বিষয়টি জানান। সংগে সংগেই প্রতিবেশীরা এসে পৌছালে, তাকে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়া হয়। তার চিকিৎসা শুরু হয়। এ দিন সকাল হতেই আশিষ বাবু বালুরঘাট থানায় ফোন করে তার অভিযোগ জানান এবং পুলিশ প্রথমে হাসপাতাল ও পরে বতার বাড়িতে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। পুলিশি তদন্ত শুরু হতেই বাসন্তী দেবী ভয় পেয়ে এবং টাকা পয়সা নিয়ে বাড়ি থেকে চম্পট দেন বলে আসিস বাবু এ দিন জানান।

বালুরঘাট থানার পুলিশ ঘটনা তদন্তে নেমেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *