ডাক্তার সঙ্কটে বিপাকে হরিরামপুর গ্রামীন হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা
২৭ জুন, হরিরামপুরঃ ডাক্তার সঙ্কট গ্রামীণ হাসপাতালে রুগীর চাপ সামলাচ্ছেন নার্সরা। চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়ার আশংঙ্কামুলক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর গ্রামীন হাসপাতালে।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে এমনিতেই প্রতিদিন হাসপাতাল ও তার অধীনে থাকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগীদের অসম্ভব চাপ। এদিকে বদলির নির্দেশ পাওয়া মাত্রই নতুন কর্মস্থলে কাজে যোগ না দিয়ে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করে দপ্তরে আবেদন করলেন দুইজন ডাক্তার। বৃহস্পতিবার থেকে চারজন ডাক্তার উচ্চ শিক্ষায় হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাওয়ায় একজন অতিরিক্ত মেডিক্যাল অফিসার ও নার্সরা মিলে জরুরীবিভাগ সামলাচ্ছেন। হাসপাতালের পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে নার্সরা ডাক্তারদের ভূমিকায় প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছেন। যদিও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক চারজন ডাক্তারের পরিবর্তে কোনো ডাক্তারের ব্যবস্থা করতে না পারায় হাসপাতালে চিকিৎসা করতে এসে তীব্র হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে রুগীদের। হাসপাতালে চিকিৎসা করতে এসে ডাক্তার না পেয়ে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে পাঁচজন মেডিক্যাল অফিসার, একজন অতিরিক্ত মেডিক্যাল অফিসার ও একজন বিএমওএইচ ছিলেন।বর্তমানে বৃহস্পতিবার চারজন ডাক্তারকে উচ্চ শিক্ষার জন্য কাজ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। ডাক্তার শূন্য হরিরামপুর হাসপাতালের জন্য জেলা স্বাস্থ্য ভবন জেলার হাসপাতাল থেকে তিনজন ডাক্তারকে হরিরামপুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেন। কুশমণ্ডি গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে পুষ্পেন্দু চাকী, বালুরঘাট খাসপুর হাসপাতাল থেকে রাসেল হক। এছাড়া গত বছর হাসপাতালে এক বিতর্কিত ঘটনার জেরে এক মেডিক্যাল অফিসার হরিরামপুর হাসপাতাল থেকে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কাজে যোগ দেন। সেই বিতর্কিত ডাক্তারকে হরিরামপুরে পুনঃরায় কাজে ফেরানোয় তিনি বৃহস্পতিবার কাজে যোগ না দিয়ে পদত্যাগ পত্র জমাদেন হরিরামপুরের বিএমওএইচ এর কাছে। এছাড়াও গত বুধবার কুশমণ্ডি এক মেডিক্যাল অফিসারের হরিরামপুর হাসপাতালে কাজে যোগদেবার কথা থাকলেও তিনি কুশমণ্ডি বিএমওএইচ কাছে পদত্যাগ পত্রজমা দিয়েছেন। অপরদিকে বালুরঘাটের এক মেডিক্যাল অফিসার হরিরামপুর কর্মস্থলে যোগদান করার পর শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে ছুটিতে রয়েছেন। এই পরিস্থিতে হাসপাতাল চালানো কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠেছে বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা।
যদিও হরিরামপুর গ্রামীন হাসপাতালের বিএমওএইচ সৌভিক আলম বিষয়টি স্বীকার করে জানিয়েছেন পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করতে বিষয়টি তিনি তার উপর মহলে জানিয়েছেন।