তিন জেলা নিয়ে বিজেপির সাধু ও লোকশিল্পীদের প্রথম জেলা সম্মেলন বালুরঘাটে
বালুরঘাট ১৪ জুনঃ বালুরঘাট লোকসভা আসন বিজেপি এই প্রথম নিজেদের দখলে নিয়ে আসার পর। এবার জেলায় তাদের সাংষ্কৃতিক সংগঠনের ভিত শক্ত করতে কোমর বেধে আসরে নামল বিজেপি দল। আজ বালুরঘাটে বিজেপি দলের পিএটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি অজয় অগ্নিহোত্রী সহ জেলার একমাত্র সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সহ জেলা বিজেপির কার্যকারিতাদের উপস্থিতিতে জেলার সাধু ও লোকশিল্পীদের প্রথম জেলা সম্মেলনের মাধ্যমে সরাসরি গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেন শিল্পীরা। শুধু শিল্পীরাই নন তাঁদের পরিবারের সদস্য সদস্যা মিলিয়ে প্রায় হাজার পাঁচেক মানুষ হাতে পদ্মের পতাকা তুলে জয় শ্রীরাম ধনী দেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সহ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। । শুক্রবার জয় শ্রীরাম ও ভারতমাতার জয় এই ধনীতেই মুখরিত হয়ে উঠেছিল বালুরঘাটের গুলমোহর নামক উৎসব ভবন। এদিন দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাউল কবিগান মনসামঙ্গল ও আদিবাসী নাঁচ গানের সাথে যুক্ত শিল্পীরা তাঁদের পরিবার নিয়ে গুলমোহরে জমায়েত হন। সেখানে আনুষ্ঠানিক ভাবে সরাসরি তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ অসংগঠিত ট্রেড ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি অজয় অগ্নিহোত্রী। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ ডঃ সুকান্ত মজুমদার বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার ও গৌতম চক্রবর্তী সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।
এদিন পশ্চিমবঙ্গ অসংগঠিত ট্রেড ইউনিয়ন সেল অনুমোদিত সাধু ও লোকশিল্পীদের এই জেলা সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের লোকশিল্পের সাথে যুক্ত বিশিষ্ট শিল্পীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে তাঁদের বরণ করে নেন সাংসদ ও বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্বরা।
বিজেপির ট্রেড ইউনিয়ন সেলের রাজ্য সভাপতি এদিন জানিয়েছেন যে অসংগঠিত শ্রমিকদের অক্লান্ত পরিশ্রমেই দেশ গঠিত হয়। পাশাপাশি লোকশিল্পীরা গড়েন সুন্দর সমাজ। তাঁদের সম্মান ও অধিকার প্রদান করলেই জানালে তবেই সমাজ তথা দেশের উপকার। অসংগঠিত শ্রমিক ও লোকশিল্পীদের অধিকার পাইয়ে দেওয়াই এই সংগঠনের মূল লক্ষ্য।