রক্ষাকালি মাতার পূজাকে কেন্দ্র করে ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তে দুইদেশের মিলন উৎসব
৪ জুন, বালুরঘাটঃ কাঁটাতারের বেড়া আলাদা করতে পারেনি দুই দেশের মানুষের ভালোবাসার টান। সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে থাকা রক্ষাকালি মাতার পুজোর মেলাকে কেন্দ্র করে সম্প্রীতির উৎসবে মাতল ভারত ও বাংলাদেশের পূ্র্ণার্থীরা। প্রত্যেক বছর আজকের দিনে দুই দেশের এই সম্প্রীতির মিলনের উৎসবে মুখরিত হয়ে ওঠে বালুরঘাট থানার ভাটপাড়া এলাকার শিববাড়ি গ্রামে। দুই দেশের ভৌগলিক সীমারেখা আলাদা করা হয়েছে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করে। কিন্তু সে কাঁটাতার আলাদা করতে পারেনি দুই দেশের মানুষের ভালোবাসার টান। সুযোগ পেলেই এ টানেই তারা ছুটে যায় কাঁটাতারের বেড়ার কাছে, মিশে যান একে অন্যের সঙ্গে। অনেকদিন পর আপনজনের দেখা পেয়ে আবেগে কেঁদেকেটে বুক ভাসান আর বুক হালকা করেন অনেকে। বিনিময় হয় মনের জমানো হাজারো কথা।
সীমান্তে প্রতিবারের মতো এবারও দুই বাংলার মিলন মেলা বসেছে। মংগলবার বালুরঘাট থানার ভাটপাড়া অঞ্চলের শিবরামপুর সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে দুই বাংলার এই মিলন মেলা বসে। বাংলাদেশের বিজিবি ব্যাটালিয়ান ও ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র দুই তরফের স্থানিও তরফে অনুমতি ক্রমে এই মিলন মেলার প্রত্যেকবছর অনুষ্ঠিত হয়।
যদিও মিলন মেলাকে কেন্দ্র করে উভয় দেশের সীমান্তে পর্যাপ্ত বিজিবি ও বিএসএফ মোতায়ন করা হয়। কঠোর পাহারায় কাঁটাতারের বেড়ার ফাঁক দিয়ে স্বজনদের একদৃষ্টি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লাখ লাখ মানুষের ঢল নামে। এই ক্ষণিকের মিলনে অনেকেই দেখা যায় আবেগে চোখের জল ধরে রাখতে পারছেন না।
এই মিলন মেলা চলে আসছে বহু বছর আগে থেকে। যদিও এই এলাকা পাকিস্তান-ভারত বিভক্তির আগে থেকে ভারতের পশ্চিম দিনাজপুর অধুনা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অধীনে ছিল।আর ওপারে অধুনা বাংলাদেশের নওগা জেলার গড়, ফকির, ধামর ও ততসংলগ্নিত বেশ কয়েকটি গ্রামের এ কারণে দেশ বিভাগের পর আত্মীয় স্বজনেরা দুই দেশে ছড়িয়ে পড়েন। তাই সারা বছর এদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করতে পারেন না। অপেক্ষায় থাকেন এই দিনটির জন্য ।