শিলিগুড়িকে টেক্কা দিয়ে বাজারে আসছে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার আলিপুরের আনারস, আকার ও স্বাদে সবাইকে টেক্কা দেবে জেলার আনারস
৩রা জুন, বালুরঘাটঃ দক্ষিন দিনাজপুর জেলায় ক্রমেই বাড়ছে আনারস চাষ, গত বছর বালুরঘাটের চিঙ্গিশপুরের আলিপুরের গোপাল পাহানের মতো বেশ কয়েকজন আনারস চাষী তাক লাগিয়েছিলো সারা জেলায়। এইখানে উৎপাদিত আনারসের স্বাদ যেমন ছিলো মিষ্টি, তেমন ছিলো আকার, যা রীতি মতো হার মানিয়ে ছিলো শিলিগুরির চোপরার আনারসকে। আর এই সাফল্যের পরেই এবার জেলায় ব্যাপক ভাবে আনারস চাষে চাষিদের উৎসাহিত করতে ময়দানে নামলো দক্ষিন দিনাজপুর জেলা উদ্দ্যান পালন দপ্তর। দপ্তরের পক্ষ থেকে জানা যায় এবার জেলায় শুধু চিঙ্গিসপুর নয়, জেলায় আনারস চাষ বাড়াতে উৎপাদন করা হচ্ছে কুমারগঞ্জ, গঙ্গারামপুর ও হরিরামপুরের মোট ৪০ বিঘা জমিতে, যেখান থেকে প্রায় ১৭২ মেট্রিকটন আনারস উৎপাদন হবার সম্ভাবনা। জেলা উদ্দ্যান পালন আধিকারিক সমরেন্দ্র নাথ খাঁড়া আমাদের জানান গতবার জেলায় পরীক্ষামুলক ভাবে আনারস চাষ শুরু হয়েছিলো বালুরঘাট ব্লকের চিঙ্গিশপুরের আলিপুরে। মাত্র দুই থেকে তিনজন চাষীকে নিয়ে এই চাষ জেলায় শুরু হলে শুরুতেই আসে সাফল্য। যা বালুরঘাটের পাইকারি বাজারে চাষিরা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা পিস বিক্রি করে শুধু নয় আলিপুরের আনারসের আলাদা একটা বাজার তৈরি হয়।
এবার তাই সেই চাষকে আরো কিছুটা উৎপাদন বাড়াতে উদ্যোগি হয়েছে জেলা উদ্যান পালন দপ্তর। যার ফলে বর্তমানে জেলায় ১০জন কৃ্ষক প্রায় ৪০ বিঘা জমিতে আনারস চাষ করছে। তিনি বলেন এবারের যা আবহাওয়া তাতে উপযুক্ত রোদ ও বৃষ্টির কারনে এবার গতবারের থেকেও ফলন বেশী হবে। বালুরঘাট বাসি মনোজিৎ দাস আমাদের জানান গতবার বালুরঘাটের বাজার থেকে এই আনারস সে পঞ্চাশ টাকায় কিনেছিলো। প্রথমে একটু ভয় থাকলেও খাবার পরে তিনি অবাক হয়ে যান আলিপুরের আনারস খেয়ে। আকারেও বড় বিধাননগর চোপরার আনারস থেকে, তেমন তার স্বাদ ও মিষ্টি। তিনি বলেন দক্ষিন দিনাজপুর জেলায় এমন আনারস চাষ দেখে তিনি মনে করেন এই জেলায় এই চাষের বেশ সম্ভাবনা রয়েছে। জেলা উদ্দ্যান পালন দপ্তর সুত্রে জানা যায় সম্ভবত জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকেই দেখা মিলবে এই আনারসের। এবার যা উৎপাদন হয়েছে তাতে জেলার প্রায় সর্বত্রই জেলাবাসি এই আনারস খেতে পারবে।