স্বাধীনতার পরে এই প্রথম বালুরঘাট ভূমিকন্যা হতে চলেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার পূর্ণমন্ত্রী, রায়গঞ্জ সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী
৩০শে মে, বালুরঘাটঃ বেলা ১টা নাগাদ অমিস শাহজির ফোন এলো রায়গঞ্জ সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর কাছে, তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় শপথ গ্রহন করবেন রাইসিনা হিলসে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছ থেকে। তিনি একদিকে যেমন রায়গঞ্জের সাংসদ তেমনি তিনি বালুরঘাটের মেয়ে, একপ্রকারে পূর্ণ মাত্রায় এক দিনাজপুর বাসী। আর এই খবর আসা মাত্রই খুসির ঢল দেখা গেলো বালুরঘাটের খাদিমপুরে অবস্থিত তার বাস ভবনে। একদিকে যেমন বালুরঘাটে খুসির হাওয়া তেমনি উল্ল্যাসে মাতে দেখা গেলো রায়গঞ্জ বাসিদের। স্বাধীনতার পরে এই প্রথম বালুরঘাটের কোন সন্তান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভায় মন্ত্রী হতে চলেছেন। এর আগে দিনাজপুর থেকে কেন্দ্রীয় পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছেন প্রিয় দাসমুন্সী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভায় স্থান পেয়েছেন তার স্ত্রী দীপা দাসমুন্সী। আরে এবার বালুরঘাটের মেয়ে দেবশ্রী চৌধুরী। একটা বিষয় এরা প্রত্যেকেই সাংসদ হয়েছেন রায়গঞ্জ আসন থেকে জয়ী হয়ে, যার মধ্যে আরো আশ্চর্য হলো বালুরঘাটের কেউ এবার সেই স্থান পেলো। দেবশ্রী চৌধুরীর বাবা দেবী চৌধুরী খাদিমপুর হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন, তিনি তার ছাত্র জীবনের একটা বড় অংশ বালুরঘাটে কাটিয়ে চলে যান কলকাতায়, তারপরে আবার ২০০৪ সালে তিনি বালুরঘাটে ফিরে এসে তার রাজনৈতিক এই শহরে রাজনৈ্তিক কার্যক্রম শুরু করেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। রাষ্টীয় সয়ং সেবক সংঘ, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ করে বিজেপিতে তার আত্মপ্রকাশ। ২০০৬ সালে তিনি বালুরঘাট থেকে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেন বালুরঘাটের আরএসপি বিধায়ক বিশ্বনাথ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। সেইবার তিনি মাত্র ৫ হাজার ভোটে পরাজিত হন। তারপরে তিনি ২০০৮ সালে বালুরঘাট ছেড়ে রাজ্য বিজেপির রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। সেইখান থেকে ২০১১ সালে তিনি রাজ্য বিজেপির সম্পাদক ও ২০১৪ সালে তিনি রাজ্য বিজেপির সাধারন সম্পাদক পদে আসিন হন। তিনি ২০১৪ সালে বর্ধমান দূর্গাপুর থেকে বিজেপির প্রার্থী হন, আর এবার তিনি রায়গঞ্জ থেকে প্রার্থী হয়ে ৬০ হাজারের বেশী ভোটে জয়ী হন। এইদিন সন্ধ্যা তিনি প্রধানমন্ত্রী সহ আরো বাকি মন্ত্রীদের সঙ্গে শপথ গ্রহন করবেন।