অসহায় দুঃস্থ দুই ছাত্র আশ্রমে পড়াশুনা করে উচ্চ মাধ্যমিকে নজরকারা সাফল্য সাড়া ফেলে দিলো এলাকায়
২৮শে মে, হিলিঃ সেই ছোট্ট বেলায় মা রেখে গিয়েছিলো হিলি হিন্দু মিলন মন্দিরে, তখন একজন ক্লাস থ্রি ও অপরজন ক্লাস ফাইভের ছাত্র ছিলো। সেই সময় থেকে তাদের ঠিকানা হয়েছে হিলি হিন্দু মিলন মন্দির। সেইখান থেকেই তাদের পড়াশুনা, প্রচন্ড লড়াই-এ আজ তাদের দেখা গেলো উচ্চ মাধ্যমিকে নজরকারা সাফল্যে বিক্রম সুত্রধর ও আর একজন অপূর্ব মাহাতো, এদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৪৩ ও ৪০৫। আশ্রম সভাপতি শ্রী অমূল্য রতন বিশ্বাস মহাসয়ের কাছ থেকে জানাযায় প্রায় বছর ১০ আগে হিলির হিন্দু মিলন মন্দিরে দুঃস্থ ছেলে দের পড়াশুনা করানোর ভাবনা চিন্তা শুরু করেন। সেই থেকেই শুরু, তারপর প্রায় ২০ জন এইধরনের দুঃস্থ ছেলেদের নিয়ে আসেন হিলির সমাজসেবী বঙ্গরত্ন অমূল্য রতন বিশ্বাস ও হিলি রমানাথ হাইস্কুলের শিক্ষক বিশ্বজিৎ সরকার।তাদের আবাসিক রেখে পড়াশুনা করিয়ে আজ এই দুই ছাত্র উচ্চ মাধ্যমিকে নজরকারা ফল করলো। বিক্রম সুত্রধর আমাদের জানান সে স্নাতক করতে চাই ইংরেজীতে অনার্স নিয়ে শিলিগুড়িতে তার মাসির বাড়িতে থেকে। অপর দিকে অপূর্ব মাহাতো বালুরঘাটে থেকে উচ্চ শিক্ষা লাভ করতে চাই। কিন্তু তাদের এই উচ্চ শিক্ষায় বড় অন্তরায় এখন অর্থ, যা কিভাবে জোগার করবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। আশ্রম সভাপতি শ্রী অমূল্য রতন বিশ্বাস আমাদের জানান বিক্রমের বাড়ি ইটাহারের শ্রীপুরে, অভাবের সংসারে বাবা উন্মাদ, মা কোন মতে সংসার চালায়, তাই ছোট বেলায় তার মা তাকে রেখে চলে যায় এই আশ্রমে তখন এই ছেলেটি ক্লাস থ্রিতে পড়াশুনা করতো, আর একি ভাবে অপূর্ব মাহাতো বাড়ি বালুরঘাটের কামারপুর, অপূর্বের বাবা ছোট বেলা থেকেই নিখোঁজ। বাবার অবর্তমানে মা তাকে এই আশ্রমে রেখে যায় তখন অপূর্ব ক্লাস ফাইভে পড়তো। সেই থেকে এই খানেই পড়াশুনা, তাদের সঠিক পথে চলার পেরনা সহ স্বামীজীদের উৎসাহ দিয়ে এসেছেন। আগামীতে ওদের ভবিষৎ নিয়ে কিছু করা যায়কিনা তা নিয়ে অমূল্যবাবুরা চিন্তা করছেন।
একি ভাবে হিলি রমানাথ হাইস্কুলের শিক্ষক বিশ্বজিৎ সরকারও এই দুই ছাত্রকে নিয়ে গর্ববোধ করছেন, তাদের ছোট থেকে নিজে হাতে মানুষ করেছিন অমূল্য বাবু, বিশ্বজিৎ বাবু, কার্ত্তিক সাহা মহাশয়রা। তিনি বলেন এই দুই ছাত্রের উচ্চ শিক্ষার জন্য যা খরচ হবে তা তিনি বহন করবেন।