ভারতীকে ঘিরে বিক্ষোভ, কেশপুরে শূন্যে গুলি-লাঠিচার্জ কেন্দ্রীয় বাহিনীর, পরপর গাড়ি ভাঙচুর
১২ই মে, দিনাজপুর ডেইলি ডেস্কঃ কোথাও বাঁশ লাঠি নিয়ে তাড়া, কোথাও শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ। তাঁকে মারধরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কার্যত ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ যেখানে গিয়েছেন, সেখানেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ, উত্তেজনা ছড়িয়েছে। কেশপুরের দোগাছিয়ায় উত্তেজনা এমন অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে লাঠিচার্চ এবং শূন্যে গুলি পর্যন্ত চালানো হয়েছে। গুলিতে এক জন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। অন্য দিকে ভারতীর দেহরক্ষীরও মাথা ফেটেছে। দোগাছিয়ার এই বুথে ভারতীর পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমের বেশ কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। অন্য দিকে দলবল নিয়ে একটি বুথে ঢুকে পড়ার অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন। পরে ভারতী ঘোষের গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়। স্থানীয় একটি কালীমন্দিরে ধর্নায় বসেছেন ভারতী। বছর দেড়েক আগেও তিনি ছিলেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ আইপিএস অফিসার। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার। কিন্তু এ বার তিনি ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। এক সময়ের সেই দোর্দণ্ডপ্রতাপ পুলিশ অফিসার ভারতী ঘোষ নিজেই কেশপুর-গড়বেতার বুথে বুথে আক্রান্ত। যেখানে গিয়েছেন, কার্যত সেখানেই বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন ভারতী। ছড়িয়েছে উত্তেজনা। প্রথম ঘটনা ঘটে কেশপুরের শিবশক্তি হাইস্কুলের ২০৬/২০৭ নম্বর বুথে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে ভারতী ঘোষ ওই বুথে যান। তাঁর অভিযোগ বিজেপির এজেন্টকে বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। এজেন্টকে বুথে ঢোকানোর চেষ্টা করতেই মহিলারা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ভারতীর নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে শুরু হয় হাতাহাতি। ঘাটালের বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, তাঁকে নিগ্রহ করার চেষ্টা করেন তৃণমূল কর্মীরা। ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে তাঁর নখ উপড়ে যায়। সেই সময় কাঁদতেও দেখা যায় তাঁকে। পরে সংবাদ মাধ্যমে অভিযোগ করেন, তিনি যেখানেই যাচ্ছেন, তৃণমূল তাঁকে আক্রমণ করছে।