ফণীর দাপটে দেড় মিনিটেই লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল বাংলাদেশের বহু গ্রাম
৪ঠা মে, ঢাকাঃ মাত্র দেড় মিনিটের ব্যবধানে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী’র আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চরজব্বর ইউনিয়নের চর আমিনুল হক নামক গ্রামটি। শনিবার (৪ মে) ভোর ৪টায় ফণীর প্রবেশে বাংলাদেশের প্রায় শতাধিক বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড়ের প্রকোপে বাড়ী চাপা পড়ে ইসমাইল হোসেন (২) হোসেন নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী’র কারণে গ্রামটিতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০-৩৫ জন। তাদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই গ্রামের ৮০০ পরিবারকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। দুপুরের খাবারেরও ব্যবস্থা করবে জেলা প্রশাসন। এদিকে রাত থেকেই নোয়াখালীতে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন আছে পুরো নোয়াখালী। অপরদিকে জেলার সুবর্ণচর, কোম্পানিগঞ্জ ও হাতিয়া উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও দূর্যোগ কর্মকর্তা হামিদুল হক।
একি ভাবে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে লক্ষ্মীপুরে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বাড়ীর নিচে চাপা পড়ে আনোয়ারা বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল হক জানান, তার উপজেলার চর গজারিয়া, তেলির চর, বয়ারচর, চর আবদুল্লাহ এলাকাসহ রায়পুর ও কমলনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরকারি হিসাব অনুযায়ী ২৭৫টি কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ১৫৫টি।
অপরদিকে মেঘনায় অস্বাভাবিক জোয়ার ও প্রবল ঢেউয়ে নিমাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে নদীপাড়ের কয়েক লাখ মানুষ।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান জানান, নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা মানুষদের শুকনা খাবার ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ৩৭৫টি মেট্রিক টন চাল, ২ হাজার ৫০০ বস্তা বিস্কুট ও নগদ ৮ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে।