উদ্বেগ বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গের, উপকূল বরাবর এগচ্ছে ফণী, জারি চূড়ান্ত সতর্কতা
৩রা মে, দিনাজপুর ডেইলি ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের জন্য উদ্বেগ বাড়ালো ফণী! জারি হল চরম সতর্কতা। সূত্রের খবর, ওড়িশার স্থলভাগের গভীরে না গিয়ে ক্রমশ উপকূল বরাবর এ রাজ্যের দিকেই নাকি ধেয়ে আসছে অতি শক্তিশালী প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী। আর সে কারণেই উদ্বিগ্ন আবহবিদেরা।
উদ্বেগটা কী রকম?
আবহবিদ জে কে মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, একটা ঘূর্ণিঝড় যখন কোথাও আছড়ে পড়ে বা তার ল্যান্ডফল হয়, অনেকটা অঞ্চল জুড়েই তার বিস্তৃতি থাকে। ঝড়ের কেন্দ্রকে বলা হয় ‘আই অফ দ্য স্টর্ম’। আর এই ‘আই অফ দ্য স্টর্ম’-কে কেন্দ্র ধরলে তার চারপাশে অনেকটা অঞ্চল জুড়ে তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড়।
আবহবিদ জে কে মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, একটা ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র যত স্থলভাগের গভীরে এগতে থাকে, ততই তার শক্তিক্ষয় হয়। আর এখানেই লুকিয়ে রয়েছে দুশ্চিন্তার কারণটা।
কারণ, সকাল ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ ওড়িশার উপকূলে স্থলভাগের উপরে ১৯৫ কিলোমিটার গতিবেগে ফণী আছড়ে পড়লেও, তার অভিমুখ স্থলভাগের গভীরের দিকে নয়। বরং উপকূল বরাবরই সে ক্রমশ পশ্চিমবঙ্গের দিয়ে এগিয়ে আসছে। এ ক্ষেত্রে যে হেতু তার বিস্তৃতির অনেকটা অংশ সমুদ্রের উপরেই রয়ে গিয়েছে, তাই পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছতে ফণী যতটা শক্তিক্ষয় করে ফেলবে মনে করেছিলেন আবহবিদেরা, তা হবে না। ১০০ কিলোমিটার বা তারও বেশি গতিতে এ রাজ্যে আঘাত হানতে পারে সে।
অভিমুখ বদলে ওড়িশার স্থলভাগের দিকে না এগিয়ে যদি উপকূল বরাবরই তা যদি এ রাজ্যে এসে পৌঁছয়, তা হলে দুই মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও করছেন আবহবিদেরা।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সকাল সাড়ে ১০টায় কলকাতা থেকে ফণীর অবস্থান ছিল ৪১৮ কিলোমিটার দূরে। দিঘা থেকে ৩৬৪ কিলোমিটার। ইতিমধ্যেই ফণীর প্রভাবে পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং কলকাতায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।
এ দিন এ রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় হাওয়ার গতিবেগ প্রায় ৭০ থেকে ৮৫ কিলোমিটারের কাছাকাছি থাকবে, জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।