আবার বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে জটিল অস্ত্রপচারে জীবনদান এক ৩৫ বছর বয়সী মহিলার
২৮শে এপ্রিল, বালুরঘাটঃ আবার বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল পেলো জটিল অস্ত্রপচার সাফল্য পেল স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ রঞ্জন কুমার মুস্তাফির হাত ধরে। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সফল অস্ত্রপচারে প্রায় মৃতপ্রায় রোগীর প্রাণ বাঁচায় খুশির হাওয়া জেলা জুড়ে।জানাযায় হিলি থানার তিওড়ের ফেরুসা এলাকার বাসিন্দা টপি ঘোষ প্রচণ্ড পেটের যন্ত্রণা নিয়ে শনিবার ভোরে বালুরঘাটহাসপাতালে ভর্তি হন। প্রথমে হাসপাতালের মেডিক্যাল বিভাগে মহিলা চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু কিছুতেই টপিদেবীর পেটের ব্যথা না কমে ক্রমেই বাড়তে থাকে, নেমে যায় দ্রুত পালস বিট।পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ডাকা হয় স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ রঞ্জন মুস্তাফিকে। তার প্রচেষ্টাতেই এক জটিল অস্ত্রপচারে এক প্রায় মৃতপ্রায় রুগীকে জীবনের পথে ফিরিয়ে আনেন ডাঃ রঞ্জন মুস্তাফি। তিনি আমাদের জানান, এসটপিক প্রেগনেন্সির জেরে টিউব ফেটে পেটের ভিতর প্রচুর রক্ত জমাট বেঁধে প্রাণ সংশয় হয়ে উঠেছিল এক মহিলার। সকাল ৭টা নাগাদ গিয়ে দেখি রোগি রক্তশূন্য হয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়েছেন। অভিজ্ঞতা থেকে রোগের কারণ ধরে তিনি রোগিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গিয়ে দ্রুত অস্ত্রপচারের সিদ্ধান্ত নেন। জরায়ুর বদলে টিউবের ভেতর প্রেগনেনন্সি হওয়ায়, পেটের ভেতর টিউব ফেটে শরীরের সব রক্ত পেটের ভেতর জমাট বেধে যায়। অস্ত্রপচারে টিউব কেটে বাদ দেওয়ায় বন্ধ হয় রক্তপাত, জীবন ফিরে পায় টপি ঘোষ। প্রায় ছয় ঘন্টার সফল অস্ত্রপচারে এই অসাধ্য সাধন হয়। এবিষয়ে টপিদেবীর স্বামী চিত্ত ঘোষ জানান, হাসপাতালের চিকিৎসকের চেষ্টায় স্ত্রীকে ফিরে পেয়েছেন তিনি। এবিষয়ে হাসপাতালের সুপার তপন বিশ্বাস জানান, বর্তমানে টপি ঘোষ আশঙ্কামুক্ত। তিনি এখন স্থিতিশীল রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের দ্রুত সিদ্ধান্ত ও হাসপাতালের পরিকাঠামোয় রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।