বাসন্তী পূজোয় মেতে উঠলো উত্তর দিনাজপুর জেলাবাসী
দিনাজপুর ডেইলি ডেক্স, রায়গঞ্জ, ১৩ এপ্রিল—– বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব শারদীয়ার মত জমজমাট না হলেও চৈত্র মাসের শেষে মা বাসন্তী দেবীর আরাধনায় মেতে উঠলো উত্তর দিনাজপুর জেলার বোচাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন কুজিয়া গ্রাম চার গ্রাম সার্ব্বজনীন বাসন্তী পূজা। এই পূজা কে ঘিরে সপ্তাহব্যাপী মেলার আয়োজন হয়েছে। চারগ্রাম মা বাসন্তী পূজা আজ থেকে প্রায় ৪০০ বছরের আগে পুজো প্রচলন শুরু হয়। সময়ের সাথে সাথে এই পুজো ঐতিহ্যের সাথে সাথে সুনাম অর্জন করে চলেছে। কথিত অবিভক্ত বাংলাদেশের হরিপুরের জমিদারের হাত দিয়ে এই পূজা শুরু হয়েছিল। বিপদের সময় আমপাতা ও বেলগাছে ভড়া জঙ্গলে স্বপ্না আদেশ পেয়ে এই পূজা প্রচলন করেছিলেন জমিদার। পড়ে এলাকার বাসিন্দা মহিম মন্ডল পূজার দায়িত্ব গ্রহন করে পূজা চালিয়ে গেছেন। সময়ের সাথে সাথে এই মন্দির কেন্দ্রিক বাসন্তী পূজা চার গ্রামের সার্ব্বজনীন পূজা নামে পরিচিত পেয়েছে। আটঘড়া,কুজিয়া,মুজিয়া ও মহাগাও এই ৪ গ্রামের মানুষ উদ্যোগে চাদা দিয়ে মায়ের পূজোর আয়োজন করে আসছে।
নিয়ম মেনে ষষ্ঠীর দিনে এলাকার একটি পুকুর ঘটে জল ভরে পূজা শুরু হয় এবং দশমির দিনে সেই পুকুরেই প্রতীমা বিসর্জন দেওয়া হয়। ৪০০ বছরের পূরানো কালিয়াগঞ্জের কুজিয়া গ্রামের বাসন্তি পূজায় অংশ নিতে এই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রচুর মানুষের ঢ্ল নামে পূজার দিন গুলিতে। পূজার দুই দিন আগে থেকে এই চার গ্রামের মানুষেরা নিরামিষ আহার গ্রহন করে। পূজার ঐতিহ্য যে কাটা ফল দিয়ে পূজা না হলে গোটা ফল দিয়েই পূজা হয়। বিশেষ করে কলার ছরি দিয়ে পূজা হয়। ঢাক বাজিয়ে বাড়ির মহিলারা মাথায় করে ডালা সাজিয়ে নিয়ে মন্দিরে পূজা দিতে আসেন। মা বাসন্তি খুব জাগ্রত,সাবিকি মতে পূজা হয়ে চলেছে। যে যা মনস্কামনা নিয়ে আসেন মা তাদের মনস্কামনা পূরন করেন। মায়ের প্রচুর সোনা ও রুপার অলঙ্কার রয়েছে। মায়ের নামে দুই বিঘা জমি রয়েছে। পূজা কে ঘিরে বসেছে মেলা। বহিরাগত ও স্থানীয়দের ভিড়ে কুজিয়া গ্রামে মা বাসন্তী মন্দির প্রাঙ্গনে প্রাণের ছোয়া পেয়েছে।