বালুরঘাটে বাম নীতি ভেঙে বামফ্রন্টের বহু নেতা গোপনে পদ্ম শিবিরে আতাত
১৩ই এপ্রিল, বালুরঘাটঃ বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে বাম কর্মীদের মনে এবার পদ্ম ফুটছে। বাম অন্য শরিকদের ছেড়ে দিলেও খোদ আরএসপির ঘরেই রয়েছে গলদ। গ্রাম থেকে শহর বহু নেতা কোদাল বেলচার বদলে মন পদ্ম শিবিরে। এমনি সব ছবি বামের অন্দর থেকে বেড়িয়ে এলো ঠিক লোকসভা নির্বাচনের প্রাক কালে। কিন্তু কেন গ্রামগঞ্জের নেতৃ্ত্বের মধ্যে এমন মনভাব তাদের নিজেদের দলের প্রতি, অনেকের দাবী তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই-এ বাম নয় পদ্ম শিবির উপযুক্ত তাই তাদের ভাবনায় এবার পদ্ম। যদিও অনেকে মনে করেন একবার বাম ভোট ব্যাঙ্ক পদ্ম শিবিরে স্থানান্তর হয় তবে তা পুনরায় ফিরিয়ে আনা একপ্রকার অসম্ভব। গ্রামের ভোট ব্যাঙ্কে বাম ভাবনায় পদ্ম দেখা শুধু নয়, একি হাল ক্ষোদ বালুরঘাট শহরের। যেখানেও বাম পালে পদ্মের গন্ধ, এইখানে অবশ্য আরএসপির শিবিরেই রয়েছে দুই তত্বের যোগ। যা পদ্ম শিবিরকে শক্ত করবে বাম ভোট ব্যাঙ্কের বৃহদাংশ বলে অনুমান রাজনৈতিক মহলের। তাই বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে বাম শিবির তাদের ভোট ব্যাঙ্কের ২৮ শতাংশ থেকে কতটা পরিমান সংযোজন বা বিযোজন ঘটবে তা এখন নির্ভর করছে বাম নেতাদের পরিচালনার উপর। প্রচারের আর মাত্র ১০দিন বাকি এরমধ্যে বামনেতাদের সেইভাবে বড় কোন জনসভা কিম্বা কোন হেবিওয়েট নেতার আগমনের কোন সম্ভাবনা এই অঞ্চলে নেই। পাশাপাশি স্থানীয় নেতৃত্বেরও সেইভাবে কোন প্রচার কিম্বা গ্রাম গঞ্জে ঢুকে বড় কোন নির্বাচনী প্রচারের কোন চিহ্ন এ যাবৎ সেই ভাবে দেখা যায়নি। যা থেকে সাময়িক স্পষ্ট, তারা এই জেলার ময়দান একপ্রকার ছেড়েই রেখেছেন, শুধু মাত্র এলাকায় এলাকায় নিজেদের চিহ্নকে জিয়ে রাখা ছাড়া বামেদের সেইভাবে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার কোন উদ্যোগ সেইভাবে দেখা যাচ্ছে না। তাই বামদলের ভোট ব্যাঙ্কের অবস্থা এই জেলায় ২৩শে মে-র ভোট ব্যাঙ্কে কি এসে দাঁড়ায় তা এখন বড় প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাঁড়িয়ে। গ্রামের বিভিন্ন নেতা নেতৃত্বের মুখে কিন্তু অন্য কথা শুনে আমাদের এইবারের নির্বাচন নিয়ে অন্য ভাবনার জন্মদিলো, এইভাবে বাম ভোট অন্যদিকে স্থানান্তর হলে, আগামী দিনে ক্রমেই হারিয়ে যেতে পারে বাম নামক অস্তিত্ব।