পুলিশ টানা ৫০টির বেশী চুরির কিনারা করতে না পারাই ক্ষিপ্ত গ্রামবাসিদের পথ অবরোধ
১২ই এপ্রিল, কুমারগঞ্জঃ পুলিশি নিস্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে চোরের দাপটে অতিষ্ঠ গ্রামবাসীরা সরব হয়ে, প্রতিবাদে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মহিলাদের। অবরোধ তুলতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে কুমারগঞ্জ থানার ওসি। ঘেরাও পুলিশের গাড়ি ও পুলিশ কর্মীরা। শুক্রবার সকালে দক্ষিন দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ ব্লকের মোল্লাদিঘী এলাকার এমন ঘটনা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ গত একমাসে পুলিশি নিস্ক্রিয়তায় ৫০ টিরও বেশি চুরির ঘটনা ঘটেছে এলাকায়। থানায় অভিযোগ করেও চোরেদের কোন কুলকিনারা করা ব্যার্থ কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। তাই ক্ষিপ্ত গ্রামবাসিরা প্রতিবাদে মোল্লাদীঘি বালুরঘাট রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন তৃনমুলের স্থানীয় প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যও। ধারাবাহিক ভাবে ঘটে যাওয়া চুরির ঘটনার কূলকিনারা করতে ব্যর্থ পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে এদিন রাস্তায় নামেন গ্রামের সাধারণ মানুষ । দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টার পথ অবরোধে নাজেহাল হতে হয় পথ চলতি সাধারণ মানুষদের। ঘটনার খবর পেয়ে কুমারগঞ্জ থানার ওসি সুদীপ্ত দাস এর নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী এলাকায় পৌঁছাতে তাদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি কিছুটা বেগতিক বুঝতেই এলাকা ছাড়েন ওসি। এরপরেই বাসিন্দারা পুলিশের গাড়ি ও পুলিশকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পুরো ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় মোল্লাদিঘী এলাকায় বিক্ষোভকারীদের তরফে জুয়েল সরকার ও জোসনা বিবি রা বলেন বিগত কয়েক মাস ধরে সীমান্ত অধ্যুষিত এই গ্রামে ধারাবাহিকভাবে চুরির ঘটনা অব্যাহত । প্রকাশ্যে চোরেরা ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের ধরার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এলাকার একাধিক চুরির বিষয় নিয়ে গ্রামবাসীরা কয়েকদফায় থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে গেলে তাদের গালমন্দ, কটুকথা ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছেন থানার পুলিশ কর্মীরা। আর যারপরেই এমন রাস্তা অবরোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। তারা চান চুরি বন্ধ হয়ে শান্তি ফিরুক এলাকায়। এলাকায় তৃণমূলের প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য লক্ষণ রায় জানিয়েছেন, প্রতিদিনই গ্রামের কারো না কারো বাড়িতে ধারাবাহিকভাবে চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে। যার হাত থেকে নিস্তার পাননি তিনি নিজেও। পুলিশ কোনো অভিযোগ নিচ্ছে না। যার প্রতিবাদে গ্রামের লোকেরা রাস্তায় নেমে আন্দোলনে নেমেছেন। তারা চান এলাকায় শান্তি। কুমারগঞ্জ থানার ওসি সুদীপ্ত দাস জানিয়েছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।