কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএমের উদাসীনতায় গত ৫ মাসে হিলি বন্দরে ব্যাবসার ক্ষতির পরিমান ২০০ কোটি টাকা, কয়েক হাজার মানুষ বেকার
৬ই এপ্রিল, হিলিঃ ফারাক্কা ব্যারেজ বন্ধ থাকাকালিন বালুরঘাট অথবা রামপুর বাজার থেকে রেল পন্য পরিবহন ব্যাবস্থা চালুর জন্য ব্যাবসায়ীদের বার বার আবেদনেও কর্ণপাত করেনি কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম চন্দ্র প্রকাশ গুপ্তা, আর সেই উদাসীন মনভাবের কারনে শুধু হিলি আন্তজাতিক স্থল বন্দরে আর্থিক ক্ষতির পরিমান গত ৫ মাসে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। আর সেই সঙ্গে এই জেলার কাজ না পেয়ে সরাসরি বেকার হয়ে পরেছে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ, জেলার প্রায় ৫০০০ লড়ি কাজ না পেয়ে বন্ধ। এমন ঘটনায় হিলির আন্তজাতীক ব্যাবসায়ীরা সরাসরি আঙ্গুল তুলছেন কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম চন্দ্র প্রকাশ গুপ্তার দিকে। অভিযোগ বাইরের বন্দর কিম্বা ব্যাবসায়ীদের কোন আর্থিক লেনদেনের কারণেই ডিআরএম এই জেলায় গুড্ ইয়ার্ড চালু করতে দেয়নি।যার ফলে এই দেশের রাজস্ব ক্ষতি শুধু নয় এই জেলার একমাত্র শিল্প বন্ধ হবার মুখে, সেই সঙ্গে বেকার হয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পরেছেন জেলার ২৫ হাজার মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়ে পথে বসেছে, কাজ না পেয়ে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে কয়েক হাজার লড়ি। ব্যাবসায়ীদের দাবী রেল চাইলে এই ব্যাবসার উন্নতি করতে পারতো কিন্তু কেন কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম চন্দ্র প্রকাশ গুপ্তা এই বিষয়ে কোন উদ্যোগ গ্রহন করলো না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা। নভেম্বর মাসের আগে পর্যন্ত হিলি বন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় গড়ে ৩০০ লড়ি পন্য বাংলাদেশে এক্সপোর্ট হতো যেখানে শুধু মাত্র পাথরের চাহিদা ছিলো সবথকে বেশী, কিন্তু একদিকে ফারাক্কা ব্যারেজের সংস্কারের কারনে লড়ি পারাপার বন্ধ আর অন্যদিকে এই জেলায় রেলের কোন পন্য পরিবহনের ব্যাবস্থা গড়ে না ওঠার কারনে এই জেলায় প্রতিদিন ব্যাবসা ক্ষতির মুখে পড়েছে ব্যাবসায়ীরা। শুধু মাত্র ৩০০ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি শুধু নয় ক্ষতির হিসাবে রয়েছে এই জেলার অভ্যন্তরীণ ব্যাবসায়ীক ক্ষতি। যেখানে শুধু মাত্র পাথর না পাবার কারনে শুধু মাত্র সরকারি ২০০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ বন্ধ, ক্ষতি হয়েছে এই জেলার নির্মাণ শিল্পে, কৃষি, রাইসমিল থেকে একাধিক শিল্পে। কৃ্ষি ক্ষেত্রে সার ব্যাবসায় শুধু মাত্র রেল পন্য পরিবহন এই জেলায় না থাকায় মালদা অথবা ডালখোলা থেকে রেল রেক থেকে লড়িতে এই জেলায় সার নিয়ে আসার খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ, পাশাপাশি এই জেলার প্রায় ৬০টি রাইসমিল জেলার বাইরে চাল পাঠাতে না পারায় বিশাল ক্ষতির মুখে পড়েছে, যার ফলে ধানের দাম ঠেকেছে তলানিতে। অথচ এতো সম্ভাবনা ময় জেলায় কোন রকমের রেল পন্য পরিবহনের ব্যাবস্থা গড়ে না ওঠায় দিনের পর দিন ক্ষতির মুখে পরতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। বাধ্য হয়ে এই জেলার বহু আন্তজাতীক ব্যাবসায়ীদের চলে যেতে হয়েছে বাইরের বন্দর গুলোতে। শুধু মাত্র রেল পন্য পরিবহনের ব্যাবস্থা থাকায় মালদার মহদিপুর ক্রমেই ব্যাবসা বাড়িয়ে চলেছে, যেখানে মালদার গৌড়ে রেল থেকে পন্য নামিয়ে মহদিপুর বন্দর দিয়ে পাঠানো হচ্ছে বাংলাদেশে। একি ভাবে রেল পন্য পরিবহন থাকায় ব্যাবসা ধরে রেখেছে চ্যাংড়াবান্ধা বন্দর, ব্যাবসা বেড়েছে বিরল বন্দর দিয়েও। হিলির বহু ব্যাবসায়ী বাধ্য হয়ে এই সব বন্দরকে ব্যাবহার করছে, অথচ হিলি একসময়ের রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থল বন্দর হবার পরেও আজ শুধু মাত্র পরিবহন ব্যাবস্থা সঠিক ভাবে গড়ে না ওঠার কারনে ক্রমেই চলে যাচ্ছে তলানিতে। হিলি ট্রাক ওনার্স্ এ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক সাহা আমাদের জানান এই জেলায় রেল পন্য পরিবহন ব্যাবস্থা সঠিক ভাবে থাকলে, ফারাক্কা ব্যারেজ সমস্যা কোন ক্ষতি করতে পারতো না। আজকেও মালদা গৌড়ে রেল থেকে পন্য নামিয়ে মহদিপুরে ব্যাবসা হচ্ছে, অথচ হিলি ক্রমেই ক্ষতির মুখে চলে যাচ্ছে, আর যার কারনে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ সরাসরি কাজ হারিয়েছে, ব্যাঙ্ক থেকে লোন করে লড়ি কিনে আজ বহু মানুষ দিশাহারা। কেন কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম চন্দ্র প্রকাশ গুপ্তা সাময়িক ভাবে বালুরঘাট অথবা রামপুর বাজারে রেল পন্য পরিবহনের ব্যাবস্থা গড়ে তুলতে উদাসীন মনভাব প্রসন করলো তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। একি ভাবে হিলি এক্সপোর্টাস্ অ্যাসোসিয়েশন-এর দাবী এই জেলার প্রতি রেল দপ্তরের কি মনোভাব তার বুঝতে পারেনা। মালিগাও থেকে কাটিহার ডিভিশনে এই জেলায় সাময়িক রেল পন্য পরিবহনের কথা বলেও শুধু মাত্র কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম চন্দ্র প্রকাশ গুপ্তার অনিচ্ছার কারনে এই ব্যাবস্থা এই জেলায় বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। তবে এই বিষয় নিয়ে কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম চন্দ্র প্রকাশ গুপ্তাকে ফোনে যোগাযোগ করবার চেষ্টা করা হলেও তিনি আমাদের কোন কিছু জানাতে চাননি।