ভারতীয় সেনা গুঁড়িয়ে দিল ৭টি পাকিস্তানি সেনা-চৌকি, নিহত অন্তত ১০ পাক সেনা
৩রা এপ্রিল, দিনাজপুর ডেইলি ডেস্কঃ পাক সেনাকে ফের কড়া জবাব দিল ভারতীয় বাহিনী। কাশ্মীরে অশান্তি ছড়ানোর লক্ষ্যে গত কাল পুঞ্চ এবং রাজৌরিতে ফের সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় গোলাবর্ষণ করেছিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। যাতে শিশু ও এক বিএসএফ জওয়ান-সহ মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। সূত্রের খবর, আজ তারই প্রত্যুত্তর দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে ৭টি পাকিস্তানি সেনা-চৌকি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। কিছু সংবাদমাধ্যম বলছে, অন্তত ১০ জন পাক সেনা নিহত। কেউ বলছে, সংখ্যাটা সাত।
নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছে তাদের সেনা যে হামলা হয়েছে তা মেনে নিয়েছে ইসলামাবাদও। পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়সল এ নিয়ে ভারতকেই বিঁধে টুইটারে বলেন, ‘‘কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়াই ও-পাশ থেকে হামলা শুরু হয়েছে কাল থেকে। তাতে রাওয়ালকোট সেক্টরে আমাদের তিন জওয়ান নিহত এবং এক জন আহত। জবাব দিচ্ছে আমাদের সেনাও।’’ পুলওয়ামা-বালাকোট পর্বের পর থেকেই দু’পক্ষে উত্তেজনা বেড়েছে। ভারতের দাবি, ২০০৩-এ সংঘর্ষবিরতি চুক্তি হলেও পাকিস্তান ক্রমাগত তা লঙ্ঘন করে এসেছে। ২০১৮-য় এমন ঘটনা ছিল সর্বাধিক— প্রায় ৩ হাজার। আর চলতি বছরেই নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অন্তত ১১০ বার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাক সেনা। তাই জবাব দেওয়াটা জরুরি ছিল। পাক জঙ্গি দমনেও কড়া নজর রাখছে সেনা।কিন্তু পুলওয়ামার মতো হামলা ঠেকাতে আমাদের বাহিনী কি আদৌ তৈরি! দেশের গোয়েন্দা বিভাগ এবং প্রশাসনিক কিছু ফাঁকফোকরের কথা আগেই আলোচনায় উঠে এসেছিল। আজ জানা গেল— তাঁদের জঙ্গি-দমন প্রশিক্ষণ যে যথাযথ হচ্ছে না, তা নিয়ে পুলওয়ামা হামলার এক মাস আগে শীর্ষ কর্তাদের বেশ কয়েক বার সর্তক করেছিলেন সিআরপিএফের এক আইজি রজনীশ রাই। বর্তমানে স্বেচ্ছা বসর নেওয়া রজনীশ তখন ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুরে। সন্ত্রাস এবং স্থানীয় অভ্যুত্থান রুখতে বিশেষ শাখার দায়িত্বে। কিন্তু তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ২০১৭-র মে মাসের পরে এখানকার জওয়ানদের জন্য কোনও প্রশিক্ষণেরই আয়োজন হয়নি। সরাকরি টাকার যথাযথ খরচ হচ্ছে না বলেও সরব হন তিনি। কিন্তু সাড়া পাননি এক বারও।