দক্ষিন দিনাজপুর তৃণমূল জেলার সভাপতির নিজের ব্লকেই রমরমা বিরোধী দলের প্রচার, দেখা নেই শাসক দলের কোন দেওয়াল, নতুন কৌশলে প্রার্থী
৩১শে মার্চ, গঙ্গারামপুরঃ বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে একদিকে উদীয়মান পদ্ম শিবির আর অন্যদিকে বাম কংগ্রেসের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। সেই দিকে ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে ঘাসফুল।এই কেন্দ্রের প্রার্থী নিয়ে দক্ষিন দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতির আপত্তি থাকলেও দলের নির্দেশে অবশেষে তিনি ময়দানে নামলেও এখনো মাঠে ময়দানে দেখা নেয় বিপ্লব মিত্র অনুগামীদের। তাই গঙ্গারামপুর ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম সভায় যেখানে বিরোধী রাজনৈতিক দলের দেওয়াল লিখনে ভোটের রমরমা অবস্থা সেইখানে প্রায় দেখায় নেই শাসক তৃণমূলের দেওয়াল লিখন। গঙ্গারামপুরের অশোকগ্রাম, চালুন গ্রাম সভায় বিজেপির দেওয়াল লিখনে প্রায় ভরে গিয়েছে এই এলাকার সব দেওয়াল, পাশাপাশি সংগঠনের খারাপ অবস্থাতেও বাম কংগ্রেসের দেওয়ালও কিছু কম নেই। কিন্তু অদ্ভুদ ভাবে ক্রমেই মুছে গেছে শাসক তৃণমূলের এই এলাকার প্রচার।
ফুলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সাদিক সরকার এবারের কংগ্রেস প্রার্থী, তাই তার নিজের এলাকায় প্রচারে কংগ্রেস অন্য মাত্রা যোগ করেছে, পাশাপাশি বামদলও তাদের সংগঠনিক শক্তিতে জেলার প্রায় সর্বত্র তাদের প্রচার ও দেওয়া লিখনের কাজ সমাপ্ত করেছে, কিন্তু এই এলাকার এখনো প্রায় ৮০শতাংশ এলাকায় দেওয়ালে কালি পরেনি। যেখানে পদ্ম ভরে থাকা দেওয়াল গুলোতে তাদের প্রার্থীর নাম ছড়িয়ে পরেছে, পাশাপাশি পদ্মের সঙ্গে পাল্লাদিয়ে দেওয়াল ভরিয়েছে বাম ও কংগ্রেস প্রার্থীর নাম, সেইখানে দেখাই যাচ্ছেনা তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অর্পিতা ঘোষর নামে দেওয়াল। যার ফলে ব্যাপক ভাবে প্রচারে পিছিয়ে পড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে মনে করছে অনেকে। এই এলাকা গঙ্গারামপুর ব্লকের মধ্যে পরলেও এটা কুমারগঞ্জ এলাকার অন্তগত হওয়ায় গঙ্গারামপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের দাবী এই এলাকার প্রচারের বিষয় দেখছে কুমারগঞ্জের বিধায়ক তোরাফ হোসেন মন্ডল। তাই এবার এই এলাকায় প্রচার এগিয়ে নিয়ে যেতে অন্য পরিকল্পনা চিন্তা করছে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ। তিনি এই এলাকায় নিজের উদ্যোগে পথে নামতে চাইছে। এবং এই এলাকা পুনঃদক্ষল করতে প্রানপন লড়াই শুরু করলেন তিনি। যেখানে বিভিন্ন দল থেকে প্রায় ৫ হাজার মানুষকে নিয়ে এই এলাকায় জোড় প্রচার শুরু করলেন প্রার্থী। যার নেতৃ্ত্বে রাখা হয়েছে ফুলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আজগর আলি সরকারকে।